সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪, চট্টগ্রাম-৫, চট্টগ্রাম-৮, চট্টগ্রাম-৯, চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি জানান।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা।
আরও খবর>>
** একচোখা নয়, সমান আচরণ করবো
তিনি বলেন, ২৭ নভেম্বর থেকে মাঠে আছি। ১০ তারিখ থেকে প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকায় গণসংযোগে যাচ্ছি। কিন্তু আমাকে প্রচারণা করতে দেওয়া হচ্ছে না। পোস্টার নষ্ট করা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। এতে তো গণতন্ত্র ব্যহত হচ্ছে। সরকারকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে।
গায়েবি মামলায় গ্রেফতার বন্ধ করুন:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের প্রার্থী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের সময়েও নেতা-কর্মীদের গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করছে পুলিশ। এই গায়েবি মামলার উদ্ভাবক কে? গায়েবি মামলা কারা দিচ্ছে? এসব বন্ধ করতে হবে। পুলিশের মনে রাখা উচিত, ৩০ তারিখের আগেই সব বিচার শেষ নয়।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন নিয়ে মানুষের ভীতি অতীতের সব রেকর্ডকে হার মানিয়েছে। মানুষ প্রশ্ন করছে, ভোট হবে তো? ভোট দিতে পারবো তো? এসব প্রশ্নের উত্তর প্রশাসনকেই দিতে হবে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তাদেরকে সৃষ্টি করতে হবে।
যে কোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচনে থাকবো:
নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় গেলেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। ঘরে ঘরে গিয়ে নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় চলছে। এক সপ্তাহে অন্তত ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিতরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে উল্লেখ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলে আমার কিছু বলার নেই। তবে যে কোনো পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনে থাকবো।
বাড়ি ঘেরাও করে গ্রেফতার করছে পুলিশ:
চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রার্থী ইসহাক চৌধুরী অভিযোগ করেন, স্বাভাবিকভাবে প্রচারণা চালাতে পারছি না। কোথাও গিয়ে প্রচারণা চালালে পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা হানা দিচ্ছে। বাড়ি ঘেরাও করে গ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে। নির্বাচন পর্যন্ত এসব বন্ধ রাখতে হবে। না হয় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছুই থাকবে না।
সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে:
চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রার্থী মেজর (অব.) সৈয়দ মো. ইব্রাহিম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যখন প্রশাসনের কোনো কর্তা-ব্যক্তির কাছে যাই, সম্মান পাই। কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর কারো কাছে গেলে সেই সম্মানটুকু দূরের কথা, প্রাপ্য সহযোগিতাও পাচ্ছি না। অতি উৎসাহীরা আমার সমর্থকদের ফোনে হুমকি দিচ্ছে। পোস্টার নষ্ট করছে। আশা করি, নির্বাচনের আগেই এর প্রতিকার পাবো।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩১ জন প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
এমআর/টিসি