ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঐক্য থাকলে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
ঐক্য থাকলে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব বিআইটিইএফ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম: রাজনৈতিক, আদর্শিক, ধর্মীয় মতপার্থক্য সত্ত্বেও  মাটি, মানুষ ও দেশকে ভালোবাসার জায়গায় ঐক্য থাকলে পরের প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, বাসযোগ্য, উন্নত দেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ফিরিঙ্গিবাজারের মেরিনার্স রোডের বন্দর মাঠে মাসব্যাপী বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রফতানি মেলা (বিআইটিইএফ) উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিএমসিসিআই) পঞ্চমবারের মতো এ মেলার আয়োজন করেছে।

সিএমসিসিআই সভাপতি, কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর খন্দকার আকতার হোসেন।

মেয়র বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উন্নত।

ব্যবসায়ীরা স্বস্তির মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করছে। আমরা এখন গরিব দেশ নই। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে গেছে।

মেয়র ফিতা কেটে মেলা উদ্বোধন করেন।

খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সরকারের উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের গতিশীল ধারায় বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে ধাবিত হয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন একটি গর্বিত নাম।

তিনি বলেন, দেশি শিল্প-কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের স্থানীয় বাজার সৃষ্টিসহ দেশি-বিদেশি ক্রেতার সঙ্গে পরিচয় ও রফতানির জন্য মেলার গুরুত্ব অপরিসীম। মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হবে। বিদেশের বাজারে দেশি পণ্যের চাহিদা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে রফতানি বাণিজ্যে এ মেলা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রফতানি বাণিজ্যের অগ্রগতি হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।

তিনি বলেন, এ বাণিজ্য মেলা চট্টগ্রামবাসীর মেলা। এ মেলার সফলতার মধ্য দিয়ে এই জনপদ এগিয়ে যাবে।

কমোডর খন্দকার আকতার হোসেন বলেন, বন্দরের এ জায়গায় একটি মিউজিয়াম মনুমেন্ট হবে। সাভার স্মৃতিসৌধের চেয়ে উঁচু হবে চট্টগ্রামের স্মৃতিস্তম্ভ। এ ছাড়া বন্দর কতৃপক্ষ অপারেশন জ্যাকপট নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করছে।

স্বাগত বক্তব্যে মেলার আহ্বায়ক মোহাম্মদ আমিনুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ২০ হাজার বর্গমিটারে ২০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প ও সিসিটিভি বসানো হয়েছে।

হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, কর্ণফুলীর তীর ঘেঁষা মনোরম পরিবেশে প্রথমবারের মতো বাণিজ্য মেলা হচ্ছে। এটি অত্যন্ত আনন্দের। একটি অন্ধকার জায়গা আলোকিত হচ্ছে এ মেলার মধ্য দিয়ে।

কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্রান্ডগুলোর পণ্য তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কেনাকাটার জন্য বিদেশে যান। যদি দেশে সুলভ মূল্যে এসব পণ্য পায় তবে বিদেশ যাবে না। সেই উদ্যোগ নিতে হবে।

ধন্যবাদ বক্তব্য দেন সিএমসিসিআই'র সহ-সভাপতি সহ-সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী।

উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল, হাজি এমএ মালেক, মোহাম্মদ শফি, সুলতানা শিরিন আকতার, দিদারুল আলম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আমির আলী হোসাইন, আহমেদুল হক, এম সোলায়মান, প্রফেসর জাহাঙ্গীর চৌধুরী। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন বিশ্বজিৎ পাল ও কোহিনুর শাকি।

মেলায় ব্যাংক, বিমা, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, দেশি শিল্প-কারখানার স্টল, প্যাভেলিয়ন রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। জনপ্রতি টিকিটের দাম ১০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।