এ ট্রেনটি বুধবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে রাত ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। পরে ট্রেনটি চট্টগ্রামে পৌঁছালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ওই ট্রেনের এসি কেবিনের যাত্রী রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিএম) সরদার শাহাদাত আলীও এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।
শীতে জবুথবু হয়ে কষ্ট পাওয়া যাত্রীরা এ পরিস্থিতির জন্য প্লাটফর্ম ইনচার্জ জি কে ফয়েজের দিকেই তুলেছেন অভিযোগের আঙ্গুল।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ফয়েজসহ আরও যেসব কর্মকর্তা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সিসিএম দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ফয়েজ প্রায় সময় দায়িত্বে অবহেলা করেন। অনেক সময় কোচের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের তাপানুকূল ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। বেডিং বিভাগের পক্ষ থেকে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা প্রতিটি ঋতুতেই বেডশিট ও বালিশ ছাড়াও লেপ বা কম্বল দেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও ঠিকমতো তা সরবরাহ করা হয় না।
দায়িত্বে অবহেলা করলেও সিসিএম দপ্তরের একটি পক্ষ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে নিয়মিত এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
জানতে চাইলে রেলের সিসিএম সরদার শাহাদাত আলী বাংলানিউজকে বলেন, মহানগর এক্সপ্রেসের দুটি এসি কেবিনের ৩৬জন যাত্রী এই তীব্র শীতেও বেড পায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ফয়েজসহ আরও যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে জি কে ফয়েজের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি। খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
জেইউ/এসি/টিসি