উন্নয়ন প্রচারণা আ.লীগের, অভিযোগের পাহাড় বিএনপির
বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
গণসংযোগ করছেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সোহেল সরওয়ার
চট্টগ্রাম: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা গণসংযোগে নেমেছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চেয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরাও।
এ সময় টানা ১০ বছর সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সরকারের উন্নয়ন চিত্র সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরে আবারও নৌকার পক্ষে ভোট চাইলেও বিএনপির প্রার্থীরা করেছেন নানা অভিযোগ।
সকাল সাড়ে ৯টায় হযরত শাহ সুফি আমানত খান (রহ:) এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারকাজ শুরু করেন চট্টগ্রাম-৯ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
পরে তিনি বক্সিরহাট ও পাথরঘাটা ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন।
ছবি: উজ্জ্বল ধর" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2018October25/bg/n-bg220181211193843.jpg" style="margin:1px; width:100%" />এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। চট্টগ্রামকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছে। অনেক মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প এখন দৃশ্যমান। ’
নওফেল বলেন, ‘মানুষের মধ্যে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা জন্মেছে। আমরা যা বলি কাজের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা রাখি। কাজের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে শেখ হাসিনার সরকার তাদেরকে কিছু দিতে পারবে। তাই আমরা আশা করি শুধু এ আসন নয়, চট্টগ্রামের ১৬টি আসন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো। ’
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ, সাংগঠনিকভাবেও শক্তিশালী। গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার চট্টগ্রামে প্রচুর উন্নয়ন কাজ করেছে। এসব কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই জয়ী হবেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়াও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
বিকেলে নগরের মনসুরাবাদ এলাকায় গণসংযোগ করেন চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. আফসারুল আমিন। তিনিও সরকারের উন্নয়ন চিত্র সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরে নৌকার পক্ষে ভোট চান। আরও একবার তাকে সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এদিকে সকাল ১০ টায় নগরের ছোটপুল ও বিকেলে আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় গণসংযোগ করেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও তৈরি হয়নি। হাতের কাছে পুলিশ যাকে পাচ্ছে তাকে গ্রেফতার করছে। নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে নেতা-কর্মীদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। তাদের বাসা-বাড়িতে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বেলা সাড়ে ১১ টায় হয়রত শাহ সুফি আমানত খান (রহ:) এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারকাজ শুরু করেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান। পরে নগরের ওয়াসা মোড় ও লালখানবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
এ সময় আবদুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার লাগাতে দিচ্ছে না সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা। লাগালেও তা তুলে ফেলছে তারা। হালিশহর থেকে ১২ জন বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা দুই-একদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো। এর পরেও এভাবে হয়রানি করা হলে লালদীঘি মাঠে গিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবো।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বিমাতা সুলভ আচরণ করছে। সরকার দলীয় প্রার্থীদের জন্য একরকম, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জন্য আরেক রকম আচরণ করছে। সুষ্ঠু ভোট হলে ৮০ শতাংশ লোক বিএনপিতে ভোট দেবে। তাই সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এমআর/এসকে/জেইউ/এআর/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।