সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে জামাল খান সিআইইউ ক্যাম্পাসের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, তথ্য ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের এই যুগে বিশ্বের সঙ্গে একধাপ এগিয়ে যেতে সুবিধা সমৃদ্ধ এমন ল্যাব বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। নতুন দুটি ল্যাব শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক চিন্তা বাড়াতে অনেক বেশি সহায়তা করবে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হওয়া ল্যাব দুটি হলো ইলেক্ট্রনিকস ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং ল্যাব।
এখানে স্থাপন করা আইটি যন্ত্রাংশের মধ্যে রয়েছে ৭৯ ইঞ্চির ইন্টারেকটিভ স্মার্ট বোর্ড, নেটওয়ার্ক সুবিধা যুক্ত মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, বিশ্বের আইটি বাজারে সদ্য আসা অ্যাপলের নতুন মডেলের আইমেক কম্পিউটার, এইট জেনারেশনের প্রসেসর সমৃদ্ধ নতুন ব্র্যান্ড কম্পিউটার, ডিজিটাল অসসিলোস্কোপ (সিগন্যাল প্রক্রিয়া), ডিজিটাল ট্রেইনার বোর্ড, মনিটর, অত্যাধুনিক স্ক্যানার, চমৎকার সাউন্ড সিস্টেমসহ অনেক মেশিন।
ফাইজা বিনতে নূর নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, উপাচার্য স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ডিন স্যারের কাছে। সকালে ল্যাব দুটিতে ঢুকে আমার মনটাই ভালো হয়ে গেল। আইম্যাকের কম্পিউটার দেখে আমি তো হতবাক!
ইরফান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসরুমের পড়ার বাইরে শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিকাল জ্ঞান বৃদ্ধি করতে এই ধরনের উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। পাঠ্যবইয়ের পড়া আর বাস্তবমুখী জ্ঞান দুটি সমন্বয় করতে চাই চমৎকার ল্যাব।
সিআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, কিছুদিন আগে আমরা ল্যাব দুটি সবার জন্য খুলে দিয়েছি। আমি মনে করি ছেলে মেয়েদের গবেষণা ও পড়ার মান বৃদ্ধি করতে ব্যবহারিক জ্ঞানের ওপর জোর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল যুগে শিক্ষার্থীদের উচিত প্রযুক্তির উপকরণসমূহ কাজে লাগিয়ে বেশি করে জ্ঞান অর্জনে মনোযোগি হওয়া। সিআইইউ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।
স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল হক খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ল্যাব দুটি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তুলতে নানামুখী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। এখানে যুগোপযুগী ও নিত্য-নতুন মডেলের অনেক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে, যা দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এমআর/টিসি