ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শেখ হাসিনাকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া উচিত: অনুপম সেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
শেখ হাসিনাকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া উচিত: অনুপম সেন ‘চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা-একটি অপ্রকাশিত ইতিহাস’ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন।

রোববার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া পাঁচটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চিত্রসাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা দেবপ্রসাদ দাস দেবুর ‘চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা-একটি অপ্রকাশিত ইতিহাস’ অ্যালবামের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের পক্ষে অ্যালবামটি প্রকাশ করেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

ড. সেন বলেন, সাধারণ মানুষের দুঃখে কাঁদেন শেখ হাসিনা। উড়িরচরে মাঠের মাঠ আলের ওপর দিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটেছেন।

ঘূর্ণিদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার চেয়ে অনেক কম অবদান রেখেও শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন অনেকে। শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলে রক্তাক্ত হানাহানি বন্ধ করে উপমহাদেশে উগ্রবাদীদের রুখে দিয়েছেন।

ড. সেন বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে রোল মডেলে পরিণত করেছেন। এক দশকে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছেন। মাছ, চাল উৎপাদনে রেকর্ড করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি অসংখ্য কথিকা রচনা ও প্রচার করেছি। দেবু মুক্তিযোদ্ধা, তিনি আলোকচিত্রে একজন পিতৃহারা নারীকে তুলে ধরেছেন, যিনি পুরো দেশের মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য জীবনের মায়া তুচ্ছ করে অবিরাম ছুটে চলেছেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

অতিথি আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সেকান্দার চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদের সদস্য সচিব মোজাফফর আহমদ, নগর আওয়ামী লীগ নেতা একেএম বেলায়েত হোসেন, চবি পালি বিভাগের শিক্ষক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন।  স্বাগত বক্তব্য দেন দেবপ্রসাদ দাস দেবু।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।