ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে: রাষ্ট্রপতি

তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৮
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে: রাষ্ট্রপতি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে অভিবাদন গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: আইএসপিআর

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) ৭৬তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে  কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ভাটিয়ারির বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে তিনি ক্যাডেটদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ২৫৪ জন বাংলাদেশী, ২ জন সৌদি এবং ১ জন শ্রীলংকান ক্যাডেটসহ মোট ২৫৭ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের মধ্যে ৭৬তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে ২১৭জন পুরুষ ও ৩৭জন নারী ক্যাডেট আছেন।

বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে অভিবাদন গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।  ছবি: সংগৃহিতকমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু একদিন যে স্বপ্ন দেখেছিলেন; আজ তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। বিএমএ আজ একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাডেমি। এখানে ক্যাডেটদের ইনডোর প্রশিক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। জাতির পিতার হাতে যে সেনাবাহিনীর যাত্রা শুরু হয়েছিল, তার সুনাম আজ বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক। বিগত ১০ বছরে সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নসহ শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। আজকের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবকাঠামোগত, কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে এক দশক আগেকার সেনাবাহিনীর চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা এবং আধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদির সমন্বয়ে অনেক বেশি উন্নত, দক্ষ ও চৌকস।

সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ বিতরণ ও তাদের পরিচয়পত্র তৈরীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশ-বিদেশে দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখিয়ে সেনাবাহিনী সব মহলের প্রশংসা অর্জন করেছে।

ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার এ কে এম ইনজামামুল হক সেরা চৌকস ক্যাডেট বিবেচিত হন এবং ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন। এছাড়া কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার ইবনে ইজাজ হাসান সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। পরে ক্যাডেটরা আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন এবং মা-বাবা ও অভিভাবকরা নবীন অফিসারদের র‌্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।

দায়িত্ব পালনে নবীন অফিসারদের সর্বদা সজাগ ও প্রস্তুত থাকা এবং দুর্যোগ-দুঃসময়ে বিপন্ন মানুষের পাশে থাকার আহ্বানও জানান রাষ্ট্রপতি।

বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজে অংশ নেন নবীন ক্যাডেটরা। ছবি: সংগৃহিতএর আগে রাষ্ট্রপতি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রীপরিষদ সদস্য, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, সংসদ সদস্য, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. নাজিম উদ্দিন, বিএমএ’র কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান, ঢাকার বৈদেশিক কমিশনের কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের অভিভাবকরা উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৮
টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।