সম্প্রতি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত লিট ফেস্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মাহবুবুল হক ইডিইউর শিক্ষার্থীদের তার সাহিত্যিক হয়ে ওঠার গল্প শোনাতে গিয়ে বলেন, আমার পরিবারে শিশু সাহিত্যের এক বিশাল ভাণ্ডার ছিলো।
গান, কবিতা আবৃত্তি, নাটক মঞ্চায়ন ও সাহিত্যের বিভিন্ন জনপ্রিয় চরিত্রের সাজে র্যাম্প মডেলিং- এসবে ভরা ছিলো দিনব্যাপী এ আয়োজন। লিটারেরি ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ উৎসবের প্রথম পর্বে ছিলো আলোচনা সভা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিস্তারের পরিচালক ও অনুবাদক আলম খোরশেদ।
তিনি বলেন, বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সবাইকে বাধ্যতামূলক ক্রিয়েটিভ রাইটিং শিখতে হয়। উচ্চশিক্ষার জন্য কমিউনিকেটিভ রাইটিং ও ক্রিয়েটিভ রাইটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার সঙ্গে সৃজনশীলতার মিশ্রণ না হলে শিক্ষাও পূর্ণতা পায় না।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, অ্যাকাডেমিক লেখাপড়ার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিজেও সমান গুরুত্ব দেয় ইডিইউ। এসবের মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী পূর্ণতা পায়। নিজেকে মেলে ধরার জন্য এ ধরনের সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ইডিইউতে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার বাইরে যে কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, তা হঠাৎ করেই শুরু হয়নি। আমার পরিবারে যে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে আমি বেড়ে উঠেছি, এ চিন্তা ও কার্যক্রমগুলো সেই ঐতিহ্য থেকেই প্রবাহিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক সামস-উদ-দোহা বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি সবসময়ই ব্যতিক্রম, সবসময়ই নতুন। আজকের এ লিট ফেস্ট এমনই ব্যতিক্রমী এবং নতুন একটি আয়োজন। চট্টগ্রামের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের উৎসব আর হয়েছে বলে কখনো শুনিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া এবং লিটারেরি ক্লাবের উপদেষ্টা ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সাবরিন সরওয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
এমআর/টিসি