রানার আপ হয় ‘স্বাধীন’ ও ‘সার্জ ফাউন্ডেশন’ দল। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) নগরের হোটেল পেনিনসুলায় আয়োজিত ব্যতিক্রমী এ প্রতিযোগিতায় ইউএনডিপি’র ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর কিউকো ইউকো সুকা, সহকারী ডিরেক্টর মাহমুদা আফরোজ, প্রজেক্ট ম্যানেজার রবার্ট স্টোলম্যান, আইসিটি’র ডিভিশনাল অ্যাডভাইজার পিনা জাবিন, কমনওলেথ ইউকে’র আসান আলী, ফেইসবুক সাউথ এশিয়া পলিসি ম্যানেজার দেবিকা মালিক, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, সিটি মেয়রেন একান্ত সচিব মুফিদুল আলম, প্রধান পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিমসহ ইউএনডিপি বাংলাদেশ, ফেইসবুক, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ও আইসিটি ডিভিশনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সিটি মেয়র বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। আমাদের অনেক কর্মঘণ্টা বাঁচিয়েছে। আমাদের আর্থিক সাশ্রয় করেছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কর্মসংস্থানও বাড়ছে। আমাদের দেশের কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
মেয়র বলেন, এক জরিপে দেখা যায়, ২০১৫ সালে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত শুধু ফেসবুক ব্যবহার করে প্রতি বছর ৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে। কর্মসংস্থান হয় প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার। পক্ষান্তরে, বাংলাদেশ এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশ বিশ্বে ফেইসবুক ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে থাকলেও আমাদের দেশে কিছু লোক ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর কাজে। ডিজিটাল পন্থায় মোকাবিলার মাধ্যমে এ অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
চট্টগ্রামে দিনে ১৪টি সংসার ভাঙছে উল্লেখ করে মেয়র নাছির বলেন, ঢাকায় প্রতি ঘণ্টায় একটি তালাকের ঘটনা ঘটছে। এসবের পেছনে রয়েছে অনলাইন প্রযুক্তির অপব্যবহার। এ অপব্যবহার আমাদের রোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এআর/টিসি