অনুষ্ঠানে ৭ বিশিষ্ট নাগরিকের হাতে স্মার্ট আর্মস লাইসেন্স কার্ড তুলে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, শিল্পপতি ডা. আহমেদ রবিন ইস্পাহানি, রাশেদুল আলম এবং নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু নিজে এ কার্ড গ্রহণ করেন।
আরও খবর>>
** দেশের প্রথম স্মার্ট আর্মস লাইসেন্স কার্ড চট্টগ্রামে
স্মার্ট আর্মস লাইসেন্স কার্ড ছাড়াও অনুষ্ঠানে ১৪ বিশিষ্ট নাগরিকের হাতে স্মার্ট ডিলিং লাইসেন্স কার্ড তুলে দেওয়া হয়।
আবাসিক হোটেল ক্যাটাগরিতে আব্দুল করিম, ইটভাটা ক্যাটাগরিতে ফরিদুল আলম, রেস্টুরেন্ট ক্যাটাগরিতে মনজুরুল হক, হোলসেইল অ্যান্ড রিটেইল ক্যাটাগরিতে জগন্নাথ বৈষ্ণব, স্বপন বৈষ্ণব ও তপন বৈষ্ণব, ভেন্ডর ক্যাটাগরিতে বিষ্ণু কুমার ও ইব্রাহিম খলিল এবং সিলভার স্ক্রিনের জন্য খালেদ শরিফ এ কার্ড গ্রহণ করেন। ২৪ জনের বাকি ৩ জন স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড নিতে আসেননি।
স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে উদ্যোগ- স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড প্রদানের মাধ্যমে তা আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এ ধরনের ইউনিক ইনোভেশনের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ।
জুয়েলারি ক্যাটাগরিতে স্মার্ট ডিলিং লাইসেন্স কার্ড পাওয়া মৃণাল কান্তি ধর বাংলানিউজকে জানান এতদিন সনাতন পদ্ধতিতে কাগুজে লাইসেন্স পেতাম। যা বহন কিংবা নবায়ন করতে নানা ধরনের ঝামেলা হতো। এখন স্মার্ট লাইসেন্স কার্ডের কারণে এ ঝামেলা থাকবে না। দেশে প্রথমবারের মতো আমরা পেলাম। স্বাভাবিকভাবেই ভালো লাগছে।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. মমিনুর রশিদ, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাশহুদুল কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আমিরুল কায়ছারসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্পেকট্রাম আইটি সলিউশনের কারিগরি সহায়তায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড তৈরির উদ্যোগ নেয়। কার্ডে একজন ব্যক্তির নাম-ঠিকানা, আইরিশ-বায়োমেট্রিক ছাপসহ লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের ১৪ ধরনের তথ্য থাকবে।
ইস্যুর পর কার্ডের সব ধরনের তথ্য জেলা প্রশাসনের নিজস্ব পোর্টালে সংরক্ষিত থাকবে। নির্দিষ্ট মেয়াদের পর (১ বছর বা ৩ বছর) লাইসেন্স কার্ড নবায়ন না করলে ওই কার্ড সংয়ক্রিয়ভাবে ব্লক হয়ে যাবে। এছাড়াও নকল এড়াতে কার্ডে থাকবে বারকোড এবং স্ক্যানকোডও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮
এমআর/টিসি