ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সীতাকুণ্ড নিয়ে স্বপ্নের কথা জানালেন দিদার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
সীতাকুণ্ড নিয়ে স্বপ্নের কথা জানালেন দিদার সংসদ সদস্য দিদারুল আলম। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: ‘৩০ বছর পর বেড়িবাঁধ হচ্ছে। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়কগুলোও পাকা হয়েছে। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক-সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন নতুন ভবন তৈরিসহ শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।’

বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এভাবেই বলছিলেন চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম।

তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজ-মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে প্রশাসনকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করছি।

দিদারুল আলম বলেন, ‘এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আগামীতে সীতাকুণ্ডকে পর্যটন বান্ধব, শিল্পবান্ধব করে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করতে চাই।

সীতাকুণ্ডতেই বন্দর নির্মাণ করে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে ভূমিকা রাখতে চাই। ’             

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছর সীতাকুণ্ডবাসীর সেবা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হয়ে কাজ করেছি। উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ’

দিদারুল আলম বলেন, ‘আমার এলাকায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর পর ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করেছি, এটি চলমান আছে। ’

সংসদ সদস্য দিদারুল আলম।  ছবি: সোহেল সরওয়ার‘সীতাকুণ্ড হলো ভারী শিল্প এলাকা। শিল্প এলাকা এলাকা হলেও এখানে কোনো কারিগরি মহাবিদ্যালয় ছিল না। ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধের প্রেক্ষিতে অনুমোদন দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, উপজেলা কমপ্লেক্স, ৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবন দিয়েছেন। অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে’, বলেন দিদারুল আলম।  

তিনি বলেন, ‘১৩০ কোটি টাকার উপরে এলজিইডির রাস্তা হয়েছে। দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ভবন দিয়েছেন। সীতাকুণ্ডে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান রয়েছে। অনেক দূর-দুরান্ত থেকে মেহমানরা আসেন। সেখানে যাওয়ার রাস্তা ও উঠার সিঁড়ি তৈরিতে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। ’

তিনি বলেন, ‘সীতাকুণ্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে এক সময় চাঁদাবাজি হতো। আমি এমপি হওয়ার সেসব বন্ধ করে দিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি যাতে এ এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে। আমি যদি পুনরায় নির্বাচিত হই পরিকল্পনা আছে মিনি স্টেডিয়াম, ইকোনোমিক জোন, বন্দর এসব করতে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।