সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের।
নীতির প্রশ্নে এলিট আপস করেনি: মাহতাব
মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদর্শের প্রশ্নে পিতা-মাতা বড় কথা নয়।
এলিট বুঝতে পেরেছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ কী, মুক্তিযুদ্ধ কী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কী? জনগণ যেটা চায় এলিট সেটা বুঝতে পেরেছে। তাই বলেছে, আপনারা আমার পিতাকে ভোট দেবেন না। নীতির প্রশ্নে সে আপস করেনি। এ আপস যদি সে চিরকাল করে থাকে তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
কমিটমেন্ট ও আদর্শের পরিচায়ক: নাছির
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, রক্তের সম্পর্কটা মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হলো-নীতি, নৈতিকতা, আদর্শের বিষয়। আদর্শের প্রশ্নে এখানে কোনো ছাড় নেই। আমার ভাই কে, বোন কে, মা কে, আব্বা কে? পারিবারিক বিষয়ে আব্বা-আম্মা সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী। আমি যে আদর্শ ধারণ করি, আমার আদর্শের প্রতি অবিচল থাকতে হবে। আদর্শের প্রশ্নে প্রয়োজনে আমি একেবারে জীবন দিতেও দ্বিধা করবো না। এটি আমার বিশ্বাস। সে কারণে আমার সঙ্গে যারা রাজনীতিক করেন, যারা আমার সান্নিধ্যে আসেন তাদের সেভাবে মোটিভেট করি।
নিয়াজ মোর্শেদ এলিট আসলে অনেক ছোট সে। আমি তাকে স্কুলজীবন থেকে দেখেছি। তখন থেকে সে আমার কাছে আসত। আমাকে খুব পছন্দ করত। রেসপেক্ট করত। আমাকে ভালোবাসতে গিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছে। এখনো পর্যন্ত সে আছে। তার কমিটমেন্ট যে আছে দলের প্রতি এবং আদর্শের প্রতি এটারই পরিচায়ক।
এটাকে অন্যভাবে দেখার সুযোগ নেই। পিতা-পুত্র হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। আমাদের সামাজিক রীতি অনুযায়ী পিতার সঙ্গে অমর্যাদা, অসম্মান বা বেয়াদবি করেছেন সে ধরনের কোনো কিছু নয়। পিতা পিতার জায়গায় আছেন। উনি একটি দল করছেন। সন্তান আরেকটি দলের আদর্শ ধারণ করছেন। দলের আদর্শ যারা ধারণ করে তারা যাতে নির্বাচনে বিজয়ী হন সেটি নিশ্চিত করা। এটি তার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। সে হিসেবে যা করার সে করেছে। এটার জন্য আমি তাকে সাধুবাদ জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
টিসি