মৃত্যুর এক মাস ২৩ দিন পর তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়। এ ঘটনায় আহাম্মদ নবী (৭০) নামে একজনকে গ্রেফতারের পরই জানা যায় পুরো ঘটনা।
রোববার (২ ডিসেম্বর) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আহাম্মদ নবী।
নিহত যুবক জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের দক্ষিণ জিরি গ্রামের আবু সৈয়দের ছেলে।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক (প্রশাসন) আবু জাফর মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় মো. আহাম্মদ নবী (৭০) নামে একজনকে গ্রেফতারের পরই জানা যায় পুরো ঘটনা। আহমদ নবী আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আবু জাফর মো. ওমর ফারুক বলেন, জবানবন্দিতে আহাম্মদ নবী জানান গত অক্টোবরে ৬৫টি মুরগির বাচ্চা কিনে বসতঘরে বাঁশের তৈরি খাঁচায় লালন-পালন শুরু করেন তিনি। কিন্তু প্রতিরাতেই শেয়াল খাঁচায় ঢুকে মুরগি নিয়ে যাচ্ছিল। এভাবে প্রায় ১৫টিরও বেশি মুরগি শেয়াল খেয়ে ফেলে। এর থেকে বাঁচতে শেয়াল আসার পথে বাঁশের বেড়া দিয়ে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হয় জিয়াউর রহমানের।
তিনি বলেন, পরে এ ঘটনার দায় এড়াতে জিয়াউর রহমানের মরদেহ খালের পাশে ফেলে দিয়েছিলেন।
জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর নিখোঁজ হন জিয়াউর রহমান। ১৩ অক্টোবর ভোরে জিরি মহিরা খালের পাশ থেকে জিয়াউর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের মা বাদি হয়ে তার চাচাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
এসকে/টিসি