বুধবার (২১ নভেম্বর) সকালে নিজস্ব ক্রেন ছাড়া (গিয়ারলেস) জাহাজ ‘এমভি ক্যারোলিনা ট্রেডার’র আমদানি-রফতানি পণ্যভর্তি ১ হাজার ৫৬৭টি কনটেইনার (বক্স) হ্যান্ডলিংয়ের মধ্য দিয়ে এ রেকর্ড অর্জিত হয়। টিইইউ’এস (২০ ফুট দীর্ঘ হিসেবে) যা দাঁড়ায় ২ হাজার ১৮১ কনটেইনার।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৪ নম্বর জেটিতে স্থাপিত নতুন তিনটি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ বা কিউজিসি’র সাহায্যে গিয়ারলেস জাহাজে অপারেশন করা হয়। জাহাজটি সোমবার (১৯ নভেম্বর) জাহাজটি জেটিতে আনা হয়।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজ জানান, নতুন তিনটি গ্যান্ট্রি ক্রেনের সাহায্যে ‘ক্যারোলিনা ট্রেডার’ জাহাজটির লোড-আনলোড ৪৮ ঘণ্টায় সম্ভব হয়েছে। এটি চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিফলন, বড় অর্জন। যদি কোনো জাহাজের নিজস্ব ক্রেন দিয়ে এসব কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে হতো তবে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগত।
শতবর্ষী বাণিজ্য সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ৩টি করে দুই দফায় মোট ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন বসলো এনসিটির ৩ এবং ৪ নম্বর জেটিতে। এর মধ্যে বুধবার (২১ নভেম্বর) সকালে ৪৮ ঘণ্টায় একটি গিয়ারলেস জাহাজের ২ হাজার ১৮১ টিইইউ’স কনটেইনার হ্যান্ডলিং সম্ভব হয়েছে তিনটি গ্যান্ট্রি ক্রেন ব্যবহারের কারণেই। বন্দর ব্যবহারকারীদের দাবি ছিল ১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত করা। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আশাকরি বাকি চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেনও যথাসময়ে বন্দরে যুক্ত হবে। তখন ১২ ঘণ্টায়, ৬ ঘণ্টায় একেকটি জাহাজ রিলিজ পাবে।
তিনি বলেন, মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে চট্টগ্রাম বন্দরের তথা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। আগে একেকটি জাহাজের গড় অবস্থানকাল বেড়ে যাওয়ায় হাজার হাজার ডলারের যে ক্ষতিপূরণ দিতে হতো তা থেকে আমদানিকারকরা মুক্তি পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
এআর/টিসি