ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাখি সব করে রব...

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
পাখি সব করে রব... চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সমাহার। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: দেড় হাজার বর্গফুটের ছোট্ট একটি পক্ষীশালা। তাতে কলরব করছে ৬ প্রজাতির ৩৪২টি পাখি। লাফিং ডোব, ফিজন্ট, রিং নেক প্যারট, ককটিয়েল, লাভ বার্ড থেকে ম্যাকাও- কোন পাখি নেই সেখানে?

রঙ-বেরঙের এমন সব পাখি নিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার নির্মিত পক্ষীশালাটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হলো আনুষ্ঠানিকভাবেই।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নবনির্মিত পক্ষীশালা।                     <div class=

ছবি: বাংলানিউজ" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2018October25/bg/zoo-bg220181121163644.jpg" style="margin:1px; width:100%" />বুধবার (২১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন নবনির্মিত এ পক্ষীশালার উদ্বোধন করেন।  

এসময় মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে নতুন আঙ্গিকে সাজাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাঘ, জেব্রাসহ নতুন নতুন পশু-পাখি আনা হয়। যার সর্বশেষ সংযোজন পক্ষীশালা নির্মাণ।

তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকে পাখি সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না। ফলে বাচ্চাদেরও এ বিষয়ে সঠিক ধারনা দিতে পারেন না। পক্ষীশালা পাখি সম্পর্কে জানতে সবাইকে সহায়তা করবে।

পক্ষীশালায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সমাহার।  ছবি: বাংলানিউজজেলা প্রশাসক বলেন, একসময় এ চিড়িয়াখানা লস প্রজেক্ট ছিল। সু্ষ্ঠু তদারকির কারনে এখন আমরা লাভবান হচ্ছি। দর্শানার্থীদের আরও আকর্ষণ করতে এখানে ক্যাঙ্গারু, উটপাখি নিয়ে আসা হবে। চিড়িয়াখানার জায়গা স্বল্পতা দূর করতে পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকেও কিছু জায়গা নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসনক (সার্বিক) মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. মমিনুর রশিদ প্রমুখ।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. রুহুল আমীন বাংলানিউজকে জানান,  জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রায় ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পক্ষীশালাটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ টাকা আর দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ক্রয় করতে ব্যয় হয়েছে ১৪ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, ৩৪২টি পাখির মধ্যে ২০ জোড়া লাভ বার্ড, ৫০ জোড়া লাফিং ডোব, ১০ জোড়া ফিজন্ট, ১০ জোড়া রিংনেক প্যারট, ৫০ জোড়া ককটিয়েল, ১ জোড়া ম্যাকাও রয়েছে। বাকীগুলো বিভিন্ন প্রজাতির।

পক্ষীশালা নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব মো. তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রতিষ্ঠার প্রায় ৩০ বছর পার হতে চললেও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কোনো পক্ষীশালা ছিলো না। কিন্তু চট্টগ্রামের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এ বিনোদন কেন্দ্রে দেশ-বিদেশের নানা প্রজাতির পাখির সমন্বয়ে একটি পক্ষীশালার চাহিদা ছিলো।

তিনি বলেন, বিষয়টি মাথায় রেখেই জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ পক্ষীশালা নির্মাণ করা হয়েছে। আশা করছি এর মাধ্যমে বিনোদনপ্রেমী মানুষেরা বিনোদনের নতুন খোরাক পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
জেইউ/এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।