ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জুলুসের সাড়ে ৯ কিলোমিটার পথ যেতে সোয়া ৪ ঘণ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
জুলুসের সাড়ে ৯ কিলোমিটার পথ যেতে সোয়া ৪ ঘণ্টা জশনে জুলুসের মিছিল। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় ৪৭তম জশনে জুলুসে মানুষের এত ভিড় ছিল যে সাড়ে ৯ কিলোমিটার যেতে সময় লেগেছে সোয়া চার ঘণ্টা।

বুধবার (২১ নভেম্বর) নগরের মুরাদপুর-ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার আলমগীর খানকাহ থেকে সকাল সোয়া নয়টায় আওলাদে রাসুল, শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামিদ শাহের (মজিআ) নেতৃত্বে জুলুস শুরু হয়। এরপর জনতার ভিড় ঠেলে ধীরে ধীরে এগোতে থাকে বিশেষভাবে তৈরি গাড়িটি।

আরও খবর>>
** 
লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জশনে জুলুস

আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামিদ শাহকে একনজর দেখতে সড়কের দুইপাশে, ফ্লাইওভারে, বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্র, বহুতল ভবনের ছাদে হাজার হাজার মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেকে ছোট ছোট ট্রাক, রিকশাভ্যানে শরবত, রুটি, জিলাপি, শুকনো খেজুর, ফল, চকলেট দিয়ে জুলুসের অতিথিদের আপ্যায়ন করান।

বিবির হাট, মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, দেওয়ানবাজার, সিরাজদ্দৌলা রোড, আন্দরকিল্লা মোড়, মোমিন রোড, চেরাগি পাহাড়, জামালখান, চট্টগ্রাম কলেজ হয়ে জুলুসটি পুনরায় মাদ্রাসা মাঠে ফিরে আসে বেলা দেড়টায়। আয়োজকদের দাবি এবার জুলুসে ৬০ লাখ লোকের সমাগম হয়েছে।

১৯৭৪ সালে কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিকে নিয়ে দরবারে সিরিকোটের আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহের (র.) নির্দেশ ও রূপরেখা অনুসরণ করে আনজুমান ট্রাস্ট চট্টগ্রামে প্রথম জুলুস প্রবর্তন করে।

হুজুর কেবলার গাড়িতে ছিলেন আল্লামা মুফতি ওবায়দুল হক নঈমী, জামেয়ার অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ অছিয়র রহমান, মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ বদিউল আ ম রিজভী, আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এদিকে, বেলা পৌনে ১১টার দিকে আশেকে রাসুলদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে যায় জামেয়া মাদ্রাসার মাঠ। এ সময় বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন ইসলামি চিন্তাবিদরা। বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ প্রমুখ।

জুলুস প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফিরে আসার পর শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামিদ শাহের (ম জি আ) ইমামতিতে জোহরের নামাজ পড়েন মুসল্লিরা। এরপর দেশ, জাতি ও বিশ্বের শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।