ক্লাসরুমের বাইরে কর্মমুখী শিক্ষার সঙ্গে এমন চমৎকার সম্পর্ক গড়ে তুলতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস পরিদর্শন করলেন চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থী। এ সময় তারা বন্দরের জেটি এরিয়ার কার্যক্রমও ঘুরে দেখেন আনন্দ নিয়ে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাস্টমস ম্যানেজমেন্ট কোর্সের শিক্ষার্থীরা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় খাতে একক বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস পরিদর্শন করেন।
এ সময় তারা দেশের আমদানি-রফতানির চিত্র, শুল্ক ও ভ্যাটের হার নির্ধারন, পণ্য ক্লিয়ারেন্স ও নিরীক্ষণ, সেবার মান বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কাজ, শিপিং এজেন্ট, বার্থ অপারেটর, অটোমেশন, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংস্থার কাজের ধরনগুলো কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান।
প্রসঙ্গত, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সিআইইউতে চালু রয়েছে ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন কাস্টমস ম্যানেজমেন্ট’। অভ্যন্তরীন সম্পদ আহরণ ও অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষার্থীদের আরও চৌকষ করে গড়ে তুলতে ২০১৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সমঝোতা স্মারক।
সিআইইউ কর্তৃপক্ষ জানান, কাস্টম হাউসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান বলেন, এ প্রতিষ্ঠানকে দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের কাছে উন্নত ও আধুনিক মানের ব্যবসা সহায়তার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আয়কর, কাস্টমস ম্যানেজমেন্ট, মূল্য সংযোজন করসহ নিত্য নতুন সেক্টরকে এগিয়ে নিতে মেধাবীদের নেতৃত্ব দিতে হবে।
কাস্টমস ম্যানেজমেন্ট কোর্সে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে সিআইইউতে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করার কথাও এ সময় উল্লেখ করেন কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান।
সিআইইউর বিজনেস স্কুলের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও কোর্স কর্ডিনেটর ড. ইমন কল্যান চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ পরিদর্শনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের বাস্তব কাজের ধারনা দেয়া। প্রতিষ্ঠানটি আগামী দিনে তাদের গবেষণা কর্মে সিআইইউকে পাশে রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। যা আমাদের জন্য গর্বের।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজনেস স্কুলের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. সাঈদ মনজুর কাদের, অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী খালেদ, কামরুদ্দিন পারভেজ, লেকচারার আশিকুল মাহমুদ ইরফান প্রমুখ।
কাস্টম হাউস পরিদর্শন করে দেশের অর্থনীতির চাকা বদলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সিআইইউর শিক্ষার্থীরা। শরফুদ্দিন আহমেদ মাহি নামের ছাত্র বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের কাজ নিয়ে অনেক কৌতুহল ছিল। কিন্তু এখানে এসে কাজের ধরন দেখে অন্যরকম ধারনা পেলাম।
কাস্টম হাউসকে ঢেলে সাজানো গেলে বাংলাদেশের বাণিজ্যের চিত্র রাতারাতি পালটে যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এ কৃতী শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এমআর/টিসি