ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সীতাকুণ্ডে নৌকা চায় ১৭ জন, এগিয়ে দিদার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
সীতাকুণ্ডে নৌকা চায় ১৭ জন, এগিয়ে দিদার

চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-পাহাড়তলী) আসনে এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মো. দিদারুল আলম। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবারও তিনি নৌকা প্রতীক পাবেন বলে আশা করছেন।

তবে নৌকার প্রার্থী হতে এই আসনে দিদারুল আলমসহ ১৭ জন ফরম নিয়েছেন, যা ভালো চোখে দেখছেন না স্থানীয় ভোটাররা। তারা বলছেন, দল ক্ষমতায় না এলে ব্যক্তি বা নেতার কোনো মূল্য থাকে না।

নেতার প্রতি আনুগত্যতার অভাব থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়ছে।

এই আসনে উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম আল মামুন, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সদস্য মোস্তফা কামাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সমপাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, নিছার উদ্দিন আহমদ, বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীও মনোনয়ন চাইছেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন দিদারুল আলম। ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান হিসেবে সংসদ সদস্য হওয়ার পর এলাকার উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করেন তিনি।

এলাকায় সন্ত্রাস দমনে সফলতা দেখিয়েছেন তিনি। নিজের ও পারিবারিক অর্থায়নে পরিচালনা করছেন প্রায় অর্ধশত শিক্ষা ও সেবা প্রতিষ্ঠান। শুধু নিজের নির্বাচনী এলাকায় নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠিত এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হচ্ছে।

দিদারুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা জনগণের সেবক। সেবক হিসেবে জনগণের সেবা করার জন্য ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নিযুক্ত করেছেন। সেই থেকে সীতাকুণ্ডের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের চাহিদা পূরণ করতে পারাই জনপ্রতিনিধির মূল কাজ। সেই লক্ষ্য নিয়েই সীতাকুণ্ডের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছি। ’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গত সাড়ে ৪ বছরে সীতাকুণ্ডে ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এখানে নির্মিত হচ্ছে মিনি বন্দর। বিগত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্থাপন করা হয়েছে টেকনিক্যাল কলেজ। সীতাকুণ্ড মহিলা কলেজকে সরকারিকরণ করা হয়েছে। ৪১ কোটি টাকায় বেড়িবাঁধ, মিরসরাই ইকোনমিক জোনে ১১শ’ একর জায়গা নিয়ে সীতাকুণ্ডকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও জেলে সম্প্রদায়ের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ডে একটি মিনি স্টেডিয়ামের প্রয়োজনীয়তা আছে উল্লেখ করে এ জনপ্রতিনিধি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে আগামীতেও জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর কারণে আজ আমি সংসদ সদস্য হয়েছি। সীতাকুণ্ডের মানুষের সেবা করতে পারছি। সেবার মানসিকতা আছে বলেই পুরো সীতাকুণ্ডে জুড়ে উন্নয়ন কাজ করেছি। এ কথা আমি নই, জনগণই বলবে।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা যা-ই হোক না কেন, যিনি দলের মনোনয়ন পাবেন তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে, অন্যথায় দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।