ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কখনো প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করিনি: ড. মাহবুবুল

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
কখনো প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করিনি: ড. মাহবুবুল ড.মাহবুবুল হককে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অতিথিরা

চট্টগ্রাম: যিনি জীবনকে মানুষের কল্যাণে নির্মাণ করেছেন, তিনি ড. মাহবুবুল হক। তার চিন্তায় অনন্যতা আছে, দেশপ্রেম আছে। সর্বোপরি তিনি জ্ঞানের অজস্রতা ধারণ করেছেন।

শনিবার (১৭ নভেম্বর) মাহবুবুল হকের ৭০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে মাহবুবুল হক সংবর্ধনা পরিষদ।

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংবর্ধনা পরিষদের আহবায়ক ড. অনুপম সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, কবি আবুল মোমেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর সিকান্দার খান, অধ্যক্ষ আনোয়ারা আলম, ভাষাবিজ্ঞানী ড. রাজীব চক্রবর্তী, চবি উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার, অধ্যাপক ফেরদৌস আরা আলীম ও অধ্যক্ষ তহুরীন সবুর ডালিয়া।

স্বাগত বক্তব্য দেন সংবর্ধনা পরিষদের সদস্য সচিব রাশেদ রউফ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সমন্বয়ক আহমেদ খসরু। আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক ওমর কায়সার, কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিত চৌধুরী, সাহেলা মাহবুব, উপমা মাহবুব, ডা. কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক জিন্নাহ চৌধুরী, কবি কামরুল হাসান বাদল, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মৃণাল ভট্টাচার্য, শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ, বাচিক শিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, রাশেদ হাসান ও সাংবাদিক ফারুক তাহের।

ড. পবিত্র সরকার বলেন, ড. মাহবুবুল হক বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্য অঙ্গনের এক কীর্তিমান ব্যক্তি। তিনি একাধারে ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী ও গবেষক। মাহবুবুল হককে সম্মান জানিয়ে সমাজ তার দায়িত্ব পালন করেছে।

অনুভূতি ব্যক্ত করে ড. মাহবুবুল হক বলেন, আমি কৃতজ্ঞ। চট্টগ্রাম থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। সবসময় মানুষের কল্যাণ চেয়েছি। অনেক সময় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি কিন্তু কখনো প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করিনি।

তিনি বলেন, আমি গর্ববোধ করি, মুক্তিযোদ্ধা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পেরেছিলাম। বাংলা ভাষার প্রচলনে একযোগে কাজ করেছিলাম।

সভাপতির বক্তৃতায় ড. অনুপম সেন বলেন, ষাটের দশকে বাংলার মানুষ প্রাণ দিয়েছিল ভাষার জন্য। ওইসময় আন্দোলন যখন উত্তাল ছিল, তখন যারা ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাদের অন্যতম একজন হলেন ড. মাহবুবুল হক।

এর আগে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন অভ্যুদয় সঙ্গীত অঙ্গন। পরে ড.মাহবুবুল হককে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অতিথিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।