শনিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নগরের আঞ্চলিক লোক প্রশাসন মিলনায়তনে নির্বাচন বিষয়ক কর্মশালার এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ওইদিনের নয়াপল্টনের ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে ইতিমধ্যে পুলিশের আইজিপিকে ইসি থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে সরকারের মন্ত্রী থাকা অবস্থায় যারা মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন তাদের প্রার্থীতা নিশ্চিত হওয়ার পর অর্থ্যাৎ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে তারা নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরকারি কোন গাড়ি কিংবা প্রটোকল ব্যবহার করতে পারবেন না।
ইসিতে বিভিন্ন দল নির্বাচন পেছানোর দাবি করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সচিব হেলালুদ্দীন আহমদবলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পেছানোর আর কোন সুযোগ নেই। আশা করছি সব দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে। ’
ইভিএম প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘সারাদেশের শহরাঞ্চলের কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে কোন কোন স্থানে ব্যবহার হবে সেই ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে সকল প্রার্থীকে নিজ নিজ পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোন সম্ভাব্য প্রার্থী যদি নিজ দায়িত্বে পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে না ফেলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে কমিশন। সিটি করপোরেশনকে তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খানসহ চট্টগ্রামের নির্বাচনী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
এসবি/টিসি