ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পছন্দের লোককে কাজ পাইয়ে দিতে…

জমির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
পছন্দের লোককে কাজ পাইয়ে দিতে…

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে শর্ত গোপন রেখে তারিখ হেরফের করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কয়েকজন ঠিকাদার সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

১১ জন ঠিকাদারের স্বাক্ষরকরা ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এম এস আর সামগ্রীর মালামাল সরবরাহ করার জন্য অক্টোবরের ২৩ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরপত্র আহ্বান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে ১ নভেম্বর তারিখ থেকে দরপত্র কেনার জন্য বলা হয়।

কিন্তু ওইদিন কয়েকজন ঠিকাদার দরপত্র কেনার জন্য গেলে, অ্যাকাউন্ট অফিসার ওসমান গনি এখনও দরপত্র প্রস্তুত হয়নি বলে জানান।

পরে ৫ নভেম্বর দরপত্র দেওয়া হলেও সেখানে অদ্ভুত সব শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।

শর্তের মধ্যে ছিল ৩১ অক্টোবর ঠিকাদারের ব্যাংক স্টেটম্যান্টের টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা ও স্থিতি ৩০ লাখ টাকা থাকতে হবে। অথচ পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কোনো শর্তাবলি দেওয়া ছিল না।

ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের প্রশ্ন-শর্তাবলিসহ দরপত্র দেওয়া হয়েছে ৫ নভেম্বর। তাহলে কী করে ৩১ অক্টোবর এত টাকার ব্যাংক স্টেটম্যান্ট তারা দেখাতে পারবেন? যদি অক্টোবর ২৩ তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে শর্তাবলি দেওয়া থাকতো, তাহলে ৩১ অক্টোবর ব্যাংক স্টেটম্যান্টসহ অন্যান্য শর্তাবলি তারা পূরণ করতে পারতেন।

লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষরকারী মো. সাইদুল হুদা বাবু নামে এক ঠিকাদার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ২০ বছর ধরে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এম এস আর সামগ্রীর মালামাল সরবরাহ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু অসাধু কর্মকর্তা পছন্দের লোককে দরপত্র পাইয়ে দিতে অদ্ভুত শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। প্রকৃত ঠিকাদারদের দরপত্র কেনা থেকে বিরত রাখছে। এ বিষয়ে আমরা চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

মো. আবুল কাশেম নামে আরেক ঠিকাদার বলেন, ২৩ অক্টোবর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত নেই। ৫ নভেম্বর দরপত্র কিনতে গেলে ৩১ অক্টোবর ব্যাংক স্টেটম্যান্টসহ অদ্ভুত শর্ত জুড়ে দিয়ে আমাদেরকে দরপত্র কেনা থেকে বিরত রাখছে। আশা করছি সিভিল সার্জন বিষয়টি দেখবেন এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কাজ করার সুযোগ দিবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ব্যাংকে টাকা থাকার শর্ত জুড়ে দিয়েছি কারণ কিছু ঠিকাদার দরপত্র কিনে অন্যজনকে আবার বিক্রি করে দেন। এছাড়া যে ঠিকাদারের ব্যাংকে ৫০ লাখ বা ৩০ লাখ টাকার ব্যাংক স্টেটম্যান্ট দেখাতে পারে না, তিনি কিভাবে কোটি কোটি টাকার মালামাল সরবরাহ করবেন।

বাংলাদেশ সময়:১৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
জেইউ/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।