এ আসন থেকে তার ছেলে মাহবুবুর রহমান রুহেলও মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন, যিনি উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক।
এছাড়া তরুণ উদ্যোক্তা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গিয়াস উদ্দিনও চাইছেন নৌকার প্রার্থী হতে।
মিরসরাই আসন আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত।
কিন্তু এবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ও এলিট মনোনয়ন লাভের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করায় তা দলীয় সমর্থকদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদিও বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা রয়েছে এলাকায়। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন সফলভাবে।
ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনকেই দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, মিরসরাইয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ এখনও অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
তবে তার ছেলে মাহবুবুর রহমান রুহেল বাংলানিউজকে বলেছেন, বাবা মনোনয়ন পেলে তিনি নির্বাচন করবেন না। যদি কোনও কারণে তিনি নির্বাচন না করেন, সেক্ষেত্রে রুহেল প্রার্থী হবেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী গিয়াস উদ্দিনের দাবি, দলের জন্য তিনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। জিয়া-এরশাদ-খালেদাবিরোধী আন্দোলনে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস এবং জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি মোকাবেলায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে মাঠে থেকেছেন। সেসময় মিরসরাই ছিল তাণ্ডবমুক্ত। তাই এবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রস্তুত আছেন। তবে দলীয় সভানেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই মেনে নেবেন বলে বাংলানিউজকে জানান তিনি।
ভোটের মাঠে থাকা আরেক প্রার্থী নিয়াজ মোর্শেদ এলিটও শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তই মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন। বড়তাকিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এলিট দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সক্রিয় আছেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এবার তরুণদের বেশি করে মনোনয়ন দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোট ভোটারের ৪০ শতাংশই তরুণ। মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে তারুণ্যকে মূল্যায়ন করবার আশ্বাসে আমিও আশাবাদী।
মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, আগামী দিনগুলোতেও মানুষের জন্য তিনি কাজ করে যেতে চান। ১৯৭৯ সালে মিরসরাইয়ে তাকে বাদ দিয়ে ফজলুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তখনও ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন তিনি। মিরসরাই আসনে যাকে নৌকার প্রার্থী করা হবে, তার জন্য কাজ করার কথাও জানালেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বাংলানিউজকে বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে ওয়াদা নিয়েছেন।
যেহেতু সব দলের অংশগ্রহণে এবার নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, তাই সবগুলো আসনেই নৌকার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে নেতা-কর্মীরা কাজ করবেন বলে জানান এম এ সালাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৮
এসি/টিসি