ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রস্তুত প্রত্যাবাসন ঘর, দুপুরে ফিরছে রোহিঙ্গারা

মিজানুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
প্রস্তুত প্রত্যাবাসন ঘর, দুপুরে ফিরছে রোহিঙ্গারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কেন্দ্র। ছবি: সোহেল সরওয়ার

উখিয়া থেকে: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অব্যাহত দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে শেষ মুহূর্তের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে প্রাথমিকভাবে উখিয়ার ২২ নং জামতলী ও টেকনাফের ১৫ নং উঞ্চিপ্রাং ক্যাম্প থেকে ৩০টি পরিবারের ১৫০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।

এসব রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ ক্যাম্প থেকে প্রথমে উখিয়ায় কুতুপালং এলাকার ট্রানজিট কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।

এরপর এ ট্রানজিট কেন্দ্র থেকে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে স্থলপথে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ট্রানজিট কেন্দ্রে রোহিঙ্গাদের রাখতে ইতিমধ্যে ৫৭টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

ঘরগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের ধোয়া-মোছার কাজ।

রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত ঘর।  ছবি : বাংলানিউজনির্মাণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, মিয়ানমারে ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। তালিকা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে তাদের ট্রানজিট কেন্দ্রে তৈরি করা প্রত্যাবাসন ঘরে আনা হবে। এরপর নির্দেশনা অনুযায়ী মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বাংলানিউজকে জানান, তালিকাভূক্ত (১৫০ জন) রোহিঙ্গাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার যারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে আগ্রহী তাদের দুপুর দুইটায় ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের কাছে ফেরত পাঠানো হবে।

এর আগে ৩০ অক্টোবর দুপুরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠক হয়। এ বৈঠকেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে ১৫ নভেম্বর থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একমত হন।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হলে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে থেকেই ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

এসব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে গত ৯ আগস্ট মিয়ানমার সফর করেন একটি প্রতিনিধি দল।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আবাসন সুবিধা, চলাফেরা ও জীবনযাত্রাসহ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতিও পর্যবেক্ষণ করে দলটি।

ওই সময় দেশটির রাজধানী নেপিদোয় এক বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।