মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) নগরের জিইসি কনভেনশন হলে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলার চিত্র এটি। করদাতাদের জন্য এক ছাদের নিচে তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে চালান, পে অর্ডার, ই-পেমেন্টসহ কর সংক্রান্ত সব সেবা মিলছে মেলায়।
আরও খবর>>
** সম্মাননা পেলেন চট্টগ্রামের সেরা ৩৯ করদাতা
** করদাতাদের সম্মাননা দিয়ে আয়কর বিভাগও সম্মানিত: নাছির
বেলুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর আপিল ও অব্যাহতি) রওশন আরা আক্তার, কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরীয়া, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম কর অঞ্চল ১ এর কমিশনার মো. মোতাহের হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এমএ আক্কাস, ট্যাক্সেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সদস্য সৈয়দ মো. আবু দাউদ প্রমুখ।
লে. কমান্ডার (অব.) মতিন চৌধুরী রিটার্ন দাখিল করেছেন ১৪ হাজার ৫০৪ টাকার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সুন্দর পরিবেশে রিটার্ন দাখিল করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এক ছাদের নিচে সব সেবা মিলছে।
জনতা ব্যাংকের এজিএম রাখাল রঞ্জন নাগ বাংলানিউজকে জানান, এবারের আয়কর মেলায় সোনালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের সেবা পাচ্ছেন করদাতারা। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পে-অর্ডার করে দিচ্ছি। আমাদের ৬-৮ জন কর্মকর্তা করদাতাদের সেবা দিচ্ছেন।
বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার মোহাম্মদ মোরশেদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, আমরা ঢাকার আয়কর মেলায় এটিএম বুথ বসিয়েছিলাম। আগামী বছরের মেলায় একটি এটিএম বুথ বসাবো। এখন শুধু পে-অর্ডার করে দিচ্ছি।
কর অঞ্চল-৩ এর কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নবম আয়কর মেলার উদ্বোধনী দিনেই প্রচুর করদাতা এসেছেন রিটার্ন দাখিল ও ই-টিআইএন নিতে। এর মূলে কিন্তু ব্যাপক প্রচারণা ও কর সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি। অনেক তরুণ এসেছেন আয়কর সম্পর্কে নানা বিষয় জানতে। এক বছর তারা অপেক্ষা করেছিলেন মেলার জন্য।
তিনি জানান, মেলায় আয়কর আদায়ের কোনো লক্ষ্যমাত্রা নেই তবে ২০১৮ করবর্ষে চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ২০১৭ সালে আদায় হয়েছিল ১০ হাজার ১১২ কোটি টাকা। ওই বছর চট্টগ্রামের আয়কর মেলায় ৩২ হাজার ৯৮৪টি রিটার্নের বিপরীতে আদায় হয়েছিল ৫২৯ কোটি ৭০ লাখ ৯৮১ টাকা।
মেলায় ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশন, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল (আইডি ও পাসওয়ার্ড), বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিএ), কেন্দ্রীয় জরিপ অঞ্চল, সিনিয়র সিটিজেন ও প্রতিবন্ধী করদাতা, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর), উৎসে কর্তিত কর (টিডিএস), কর আপিল অঞ্চল, উইম্যান চেম্বার, মেট্রোপলিটন চেম্বার, কাস্টম হাউস, জাতীয় সঞ্চয় পরিদফতর, কর শিক্ষণ ফোরামের বুথ রয়েছে।
মেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় সংসদ সদস্য সাবিহা মুসার সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের উন্নয়নকাজ দেখে নিয়মিত করদাতারা খুশি। দায়িত্ববোধ থেকে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে কর দিতে আসছেন তারা। আবার অনেক তরুণও আসছেন ই-টিআইএন সংগ্রহের জন্য। তাদের মধ্যে অতীতে করভীতি থাকলেও মেলায় খোলামেলা আলোচনার সুযোগ পেয়ে তা দূর হয়ে যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি আইনজীবীর সহায়তায় নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করে থাকি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
এআর/টিসি