ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ধানের শীষ চায় বিএনপির একাধিক প্রার্থী

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
ধানের শীষ চায় বিএনপির একাধিক প্রার্থী লোগো

চট্টগ্রাম: একাদশ সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণার পর থেকে চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। সোমবার (১২ নভেম্বর) থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়, যা চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে এবার প্রার্থী নির্ধারণের ক্ষেত্রে নবীন-প্রবীণদের সমন্বয় ঘটানো হচ্ছে। নগরের ৩টি আসনে দেয়া হচ্ছে জনপ্রিয় প্রার্থী।

চট্টগ্রাম-৯, ১০ ও ১১ আসন নিয়েই তাই বেশি ভাবছে মনোনয়ন বোর্ড।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-খুলশী-পাঁচলাইশ) আসনে আবদুল্লাহ আল নোমান ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মনোনয়ন পেতে পারেন।

তবে আসনগুলোতে বিএনপি নেতা শামসুল আলম ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করও মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে জানা গেছে। ডা. শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাসেম বক্কর বর্তমানে কারাগারে আছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদকে একক প্রার্থী করা হতে পারে।

অন্যান্য আসনে যারা প্রার্থী হচ্ছেন:

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই): ক্লিপটন গ্রুপের চেয়ারম্যান এমডিএম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক কারান্তরীণ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, নুরুল আমিন, মনিরুল ইসলাম ইউসুফ ও নুরুল আমিন।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি): সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাদ কাদের চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা কাদের গণি চৌধুরী, ফটিকছড়ি বিএনপির একাংশের আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীর, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মীর্জা আকবর।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ): সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন ও নুরুল মোস্তফা খোকন।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড): বর্তমানে কারান্তরীণ লায়ন আসলাম চৌধুরী অথবা এল কে সিদ্দিকী পরিবারের সদস্য।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী): সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, এস এম ফজলুল হক, চাকসুর ভিপি নাজিম উদ্দিন।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান): বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া): হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ফরহাদ কাদের চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও): সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খান, নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান ও এরশাদ উল্লাহ।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া): দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এনামুল হক এনাম, ইদ্রিস মিয়া, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী): সাবেক সংসদ সদস্য সরোয়ার জামাল নিজাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী আব্বাস ও মোস্তাফিজুর রহমান।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ): এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম), কেন্দ্রীয় বিএনপির পরিবার বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এম এ হাশেম রাজু, অ্যাড. মিজানুল হক।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া): দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, আসহাব উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, আবদুল গাফফার চৌধুরী ও নাজমুল মোস্তফা আলী।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী): সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী, ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এম এ হালিম বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও দলটি নির্বাচনে যাচ্ছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ আমাদের অনেক নেতা-কর্মী এখনও কারাগারে। তাদের মুক্তির লক্ষ্যেই আমরা নির্বাচন করছি। যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক, তাকে জয়ী করতে সবাই কাজ করবে। বৃহত্তর স্বার্থে দলের সবাই এখন ঐক্যবদ্ধ।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনের পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের আছে। দলীয় নীতি নির্ধারকরা যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষেই সবাই মাঠে নামবে। কয়েকটি আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও আলোচনার মাধ্যমে একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে।

মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রস্তুত আছেন। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নগর সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর এখনও কারাগারে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তাদের মুক্তি দেয়া হোক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
এসি/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।