গ্রেফতারের পর রোববার (১১ নভেম্বর) সেই যুবক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-ইমরান খানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার যুবকের নাম মোহাম্মদ মহিউদ্দিন হাসান (২৮) ।
মহিউদ্দিন হাসানের কাছ থেকে চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ইলিয়াছ খান বাংলানিউজকে বলেন, গ্রাহক সেজে বিভিন্ন কৌশলে ব্যাংকের বাথরুমে লুকিয়ে থেকে রাতে চুরির চেষ্টা করা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-ইমরান খানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
মো. ইলিয়াছ খান জানান, বিভিন্ন ব্যবসায় লসে পড়ে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন মহিউদ্দিন হাসান। পরে গ্রেফতার হয়ে ৪ মাস কারাভোগ করেন। জামিনে বের হয়ে ঢাকায় তিনি একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন এবং ওই প্রতিষ্ঠানের ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা চুরি করে চট্টগ্রামে পালিয়ে আসেন।
তিনি জানান, মহিউদ্দিন হাসান সিটি ব্যাংকের আগ্রাবাদ ও জিইসি শাখায় দিনের বেলায় গ্রাহক সেজে প্রবেশ করে বাথরুমে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকতেন। ব্যাংকের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর সিলিং এর উপর হতে নীচে নেমে সকল সিসিটিভি এবং অ্যালার্ম সিস্টেম বন্ধ করে চুরির চেষ্টা করতেন। কিন্তু সফল হতে না পেরে ভোরে বাথরুমের অ্যাডজাস্ট ফ্যান খূলে বের হয়ে যায়। একই পদ্ধতিতে আগ্রাবাদ এবি ব্যাংকে প্রবেশ করে চুরির সরঞ্জামাদি সিলিং এর উপর রেখে বাথরুমে বসে থাকেন। কিন্তু এবি ব্যাংকের সিকিউরিটি বাথরুমে বন্ধ দেখে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বাথরুমের উপর দিয়ে তাকে ভিতরে দেখতে পান। তখন তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার অভিনয় করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রাহক মনে করে তাকে স্বাভাবিক করে বিদায় করে দেন।
মো. ইলিয়াছ খান বলেন, ব্যাংকের চুরির কিছু ঘটনা তদন্তে গিয়ে তার খোঁজ পায় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে শনিবার মহিউদ্দিন হাসানকে লালখানবাজার ইস্পাহানি মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
এসকে/টিসি
