ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পুলিশের সহায়তায় জামিনে মুক্ত সেই অমর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
পুলিশের সহায়তায় জামিনে মুক্ত সেই অমর

চট্টগ্রাম: অপরাধ ছাড়াই চার মাস জেল খেটে সদরঘাট থানা পুলিশের সহায়তা ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছেন অমর দাশ (৪৮)।

রোববার (১১ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান অমর দাশ। এ সময় অমরকে কারাফটকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন ।

ওসি বাংলানিউজকে বলেন, ডবলমুরিং থানায় দায়ের হওয়া একটি অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন অমরের চাচাত ভাই স্বপন দাশ। তিনি ২০০৪ সালে গ্রেফতার হওয়ার সময় অমরের তথ্যকে নিজের তথ্য বলে উপস্থাপন করেছিলেন।

পরে গত ৫ জুলাই অস্ত্র মামলায় সাজা পরোয়ানামূলে অমরকে গ্রেফতার করেছিল সদরঘাট থানা পুলিশ।

তিনি জানান, কারাবন্দি অমর পুলিশের সহযোগিতায় উচ্চ আদালতে রিট করেন। গত ২৮ অক্টোবর বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ অমরকে সাজার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

স্বপন দাশ সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর ব্রাহ্মণডেঙ্গা এলাকার দেবেন্দ্র জলদাশের ছেলে। আর ঘটনার শিকার অমর দাশ একই এলাকার রেবতী জলদাশের ছেলে।

সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘২০০৪ সালের আগস্টে নগরের ডবলমুরিং থানার সানাই কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বন্দুকযুদ্ধের পর পায়ে গুলিবিদ্ধ স্বপন দাশকে আটক করে র‌্যাব। এ ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু'টি মামলা হয়। মামলায় তিন বছর জেল খেটে ২০০৭ সালে জামিনে বের হন স্বপন দাশ। মামলা দায়েরের সময় স্বপনকে যখন তার নাম জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন সে অমর দাশ বলে জানিয়েছিল। পরে দু’টি মামলার এজাহারে তার নাম ছিল অমর দাশ। ২০১৭ সালে অস্ত্র মামলায় ১৭ বছর এবং বিস্ফোরক আইনে ৫ বছরসহ মোট ২২ বছরের সাজা হয় অমর (স্বপন) সহ অন্য আসামিদের। এজাহারে অমর (স্বপন) ঠিকানা লেখা আছে সদরঘাট থানা এলাকায়। জামিনে বেরিয়ে পলাতক থাকা স্বপনের সাজা পরোয়ানা এসেছে সদরঘাট থানায়। ’

রুহুল আমিন বলেন, ‘গত ৫ জুলাই অমরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে গিয়ে ২০০৪ সালে গ্রেফতার হওয়া আসামির শনাক্তকরণ চিহ্ন মেলানো হয়। কিন্তু শনাক্তকরণ চিহ্নে মিল পাওয়া যায়নি। এরপর ওই মামলায় কারাগারে থাকা আসামি মতিনকে দিয়ে অমরকে শনাক্ত করা হয়। তখন মতিন জানায় ২০০৪ সালে গ্রেফতার হওয়া আসামি আর অমর একই ব্যক্তি নন। অমরের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর স্বপনকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়। পরে গত ১৩ আগস্ট রাতে কদমতলী এলাকা থেকে স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন (১৪ আগস্ট) বিকেলে স্বপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।