মো. রেজওয়ানকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) লালদীঘি নগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর জোন) এস এম মোস্তাইন হোসাইন।
এর আগে বুধবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এস এম মোস্তাইন হোসাইন জানান, মো. রেজওয়ান দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী কিন্তু এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।
ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. রেজওয়ানের নাম প্রথমে সামনে আসে নগরের হালিশহরের একটি বাড়ি থেকে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার দুই ভাইয়ের আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর।
গত ৪ মে নগরের হালিশহরের একটি বাড়ি থেকে ১৩ লাখ পিস ইয়াবাসহ মো. হাসান ও মো. আশরাফ আলী নামে দুইভাইকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর বিভাগ।
এস এম মোস্তাইন হোসাইন বলেন, আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী- ১৩ লাখ ইয়াবার মূল হোতা মায়ানমারের নাগরিক মো. আবদুর রহিম। আবদুর রহিমের কাছ থেকে আসা এসব ইয়াবা মো. হাসান ও মো. আশরাফ আলী হয়ে মো. রেজওয়ানের কাছে পৌঁছাতো।
তিনি বলেন, এতদিন আড়ালে থাকলেও নাম প্রকাশ হওয়ার পর মো. রেজওয়ান গা ঢাকা দেয়। ৭ নভেম্বর তিনি মালয়েশিয়া পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
মো. রেজওয়ান প্রকাশ রেদোয়ান প্রকাশ জুবায়ের চট্টগ্রাম নগরের বায়েজীদ বোস্তামি থানার মোজাফফর নগর এলাকার মো. ছিদ্দিকের ছেলে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রেজওয়ানের সঙ্গে দেশের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী হাজী সাইফুল করিমের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সাইফুল করিমের ব্যবসায়িক পার্টনার বলে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে রেজওয়ান। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (বন্দর) আসিফ মহিউদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এসকে/টিসি