ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেইট-অক্সিজেনমুখী ল্যুপ চালু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৮
ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেইট-অক্সিজেনমুখী ল্যুপ চালু নগরের মুরাদপুর থেকে লালখানবাজারের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেইট-অক্সিজেনমুখী ল্যুপ চালু। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: নগরের মুরাদপুর থেকে লালখানবাজারের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেইট-অক্সিজেনমুখী ল্যুপ উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে গাড়ি চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, নগরবাসীকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের কাজ শেষ পর্যায়ে।

দুই নম্বর গেইট-অক্সিজেনমুখী ল্যুপ উদ্বোধনের মাধ্যমে ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও নগরবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্দশা কমবে।

নগরের মুরাদপুর থেকে লালখানবাজারের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেইট-অক্সিজেনমুখী লুপ চালু।  চবি: উজ্জ্বল ধরচট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সিডিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, সিডিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, নগরের যানজট নিরসনে বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে নগরের যানজট নিরসন হয়ে যাবে। সিডিএ’র সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে এই ফ্লাইওভার যানজট নিরসনে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আবদুচ ছালাম।

এসময় সিডিএ’র বোর্ড মেম্বার জসিম উদ্দিন, মো. শাহজাহান, হাসান মুরাদ বিপ্লবমহ সিডিএ’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে চলতি বছরের ১ জুন নগরের ষোলশহর ২ নম্বর গেট থেকে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারমুখী ল্যুপের একাংশ চালু করা হয়েছিল।

২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর নগরের মুরাদপুর-লালখানবাজারের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারটি পুরোপুরি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

সিডিএ সূত্রে জানা যায়, ৫.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৫৪ ফুট প্রস্থের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার প্রকল্পটি ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দেয়। ফ্লাইওভারের মোট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৬৯৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে ফ্লাইওভারটির মূল অবকাঠামো তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা এবং র‌্যাম্প ও ল্যুপ নির্মাণ কাজে ২৪৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত। পরবর্তীতে ‌‌র‌্যাম্প ও ল্যুপ নির্মাণে বরাদ্দ বাড়ানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad