রোববার(৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সম্প্রীতির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতির বড় উদাহরণ।
তিনি বলেন, অথচ তারাই বলেছেন নারী নেতৃত্ব হারাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের গুণে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন।
'গাহি সাম্যের গান' এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সম্প্রীতির সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, শিক্ষাবিদ রীতা দত্ত, অধ্যক্ষ আনোয়ারা আলম, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু প্রমুখ।
প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, ধর্মকে ভিত্তি করেই পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে। তাই এখনও তারা কোনো সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আমাদের মনে রাখতে হবে কারা সম্প্রীতির অপরূপ দৃষ্টান্ত, কারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে; তাদেরকেই ক্ষমতায় আনতে হবে। সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেলা থেকে উপজেলা এমনকি গ্রামেও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে যাবে। সাম্প্রদায়িকতার বিষধর দাঁত ভেঙে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে, সম্প্রীতির পক্ষে যারা আছেন, তাদেরকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, ইতিহাস বলে যেকোনো শুভ কাজ এ চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়ে সফল হয়েছিল। তাই এ সম্প্রীতির বার্তা চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৮
জেইউ/টিসি