ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সূচনা হোক তরুণদের হাত ধরে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৮
‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সূচনা হোক তরুণদের হাত ধরে’ সিআইইউতে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় আগামির চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালা

চট্টগ্রাম: সময় এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিংবা ডিজিটাল বিপ্লবের। এই বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেতৃত্ব দিতে হবে তরুণ-তরুণীদের। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতিটি খাতে ইতিমধ্যে এই বিপ্লবের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় আগামির চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।

নগরের জামালখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অ্যামেরিকান কর্নারে বিজনেস স্কুল সম্প্রতি এই কর্মশালার আয়োজন করে।

এতে বিবিএ প্রোগ্রামের কৌশলগত ম্যানেজমেন্ট কোর্সের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অ্যামেরিকান কর্নারের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

কর্মশালায় চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সংক্রান্ত কম্পিউটিং শক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, উৎপাদন বিজ্ঞানের অগ্রগতি, থ্রি-ডি মুদ্রণ, ইন্টারনেট অব থিংসসহ নানা বিষয়গুলো খুব সহজভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, আগামি ১০ বছরে ডিজিটাল বিপ্লবের ফলে পৃথিবীতে নিত্যনতুন পরিবর্তন ঘটবে। মানুষের জীবনমান বাড়বে।

তারা আরও জানান, সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বদলে যেতে পারে যে কোনো রাষ্ট্রের সামগ্রিক উৎপাদন প্রক্রিয়া। এখানে মূলত প্রযুক্তির গুরুত্বকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইন্টারনেট ও অন্যান্য প্রযুক্তির মধ্যে অব্যাহত সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

কর্মশালায় সিআইইউর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ড. নুরুল আবসার নাহিদ বলেন, এখন আমরা প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। মানব সভ্যতার ইতিহাসে তিনটি শিল্প বিপ্লব বিশেষ অবদান রেখেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব হয়তো মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই আসবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, নিরাপত্তা, গবেষণা সর্বক্ষেত্রে নতুন ডিজটাল শিল্প বিপ্লবের প্রভাব থাকবে। বাংলাদেশকে বিশ্বেরর বুকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে মেধাবীদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।

কর্মশালায় অ্যামেরিকান কর্নারের অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর রমা দাশ থ্রি ডি মুদ্রণের আদ্যোপান্ত তুলে ধরে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যতম বিষয় হচ্ছে থ্রি ডি মুদ্রণ। যা নতুন এক বিস্ময় তৈরি করছে সবার ভেতর।

তিনি এই মুদ্রণের ব্যবহারিক দিকগুলো তুলে ধরে বলেন, সিআইইউর অ্যামেরিকান কর্ণার মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় থ্রি ডি মুদ্রণ ব্যবহার করে আসছে। এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অনেক আগ থেকেই উৎসাহিত করা হচ্ছে।

থ্রি ডি মুদ্রণের ফলে ডিজটাইলাইজেশনের যুগে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।