ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘আপনার টাকা পড়ে গেছে বলে…’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৮
‘আপনার টাকা পড়ে গেছে বলে…’

চট্টগ্রাম: পাঁচ-ছয়জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন ব্যাংকে ঢুকে টাকা জমা বা উত্তোলন করতে আসা ব্যক্তিদের মধ্য থেকে টার্গেট করে। এরপর চক্রের তিন-চারজন তার আশপাশে বসে আবার কেউ দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। আর সুযোগ পেলেই টাকা নিয়ে চম্পট দেয় চক্রটি।

বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) দুপুরে নগরের আগ্রাবাদ সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে টাকা জমা দিতে আসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে টাকাসহ আটক করে একজনকে।

আটক ব্যক্তি হলেন- বাগেরহাট জেলার মংলা থানার দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. হাসান মোল্লা ইউসুফের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫)।

এ সময় পালিয়ে যায় এ চক্রের আরও দুই সদস্য মো. খালেক (৫০) ও মো. ফরাজী (৫৫)।

আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন।

তিনি বলেন, এ চক্রের পলাতক অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।

ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক সুবীর পাল বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মেঘনা নেভিগেশনের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন ৩ লাখ টাকা জমা দেওয়ার জন্য আগ্রাবাদের সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখায় যান। ব্যাংকের ভেতরে সোফায় বসে তিনি টাকাগুলো গুনছিলেন। টাকা গোনা শেষে তিনি যখন টাকা জমা দেওয়ার জন্য কাউন্টারের দিকে যাবেন এমন সময় পেছন থেকে একজন ডাক দিয়ে বলে উঠেন-আপনার টাকা পড়ে গেছে। এর আগে এ চক্রের অন্য এক সদস্য মেঝেতে কিছু টাকা ছড়িয়ে দেয়। প্রথমে একজন বলার পরে সাজ্জাদ হোসেনের বিশ্বাস হয়নি। তিনি সামনের দিকে পা বাড়ান। এমন সময় আরেকজন বলেন- এ টাকা আপনার কাছ থেকে পড়েছে। তখন তিনি বিশ্বাস করে করে টাকাগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছিলেন। এমন সময় এ চক্রের তিনজন সাজ্জাদ হোসেনের ৩ লাখ টাকা নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। ব্যাংকের সামনে থাকা পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে টাকাসহ একজনকে আটক করে। অন্য দুইজন পালিয়ে যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা মো. জহির হোসেন বলেন, পাঁচ-ছয়জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন ব্যাংকে ঢুকে টাকা জমা বা নিতে আসা ব্যক্তিদের মধ্য থেকে টার্গেট  করে। এরপর এ চক্রের তিন-চারজন তার আশপাশে বসে আবার কেউ দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। আর সুযোগ পেলেই টাকা নিয়ে চম্পট দেয় চক্রটি। ব্যাংক কেন্দ্রিক এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্র। আটক রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

ব্যাংকে আসা গ্রাহকদের অপরিচিত কারও সঙ্গে কথা বলা বা এমন ফাঁদে পা না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।