ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্ট্রোকমুক্ত জীবন গড়তে প্রয়োজন সচেতনতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
স্ট্রোকমুক্ত জীবন গড়তে প্রয়োজন সচেতনতা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব স্ট্রোক দিবস’

চট্টগ্রাম: ‘স্ট্রোক আমাদের থামাতে পারেনি’ স্লোগানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব স্ট্রোক দিবস’ ।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) কলেজের নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে সভা আয়োজন করা হয়।

চমেক শিক্ষক সমিতির সহায়তায় নিউরোলজি ও নিউরোসার্জারি বিভাগের উদ্যোগে সভায় বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. হাসানুজ্জামান ও নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী।

ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, স্ট্রোকের সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি আইভি থ্রম্বোলাইসিস ও থ্রম্বেক্টমি। উন্নত বিশ্বের সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ রোগী এই সুবিধা পেতে পারেন।

বিদ্যমান চিকিৎসা পদ্ধতির সঠিক ও সুষ্ঠু প্রয়োগের মাধ্যমে বেশিরভাগ স্ট্রোক রোগীকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। স্ট্রোক পরবর্তী রোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া বিজ্ঞানসম্মতভাবে আধুনিকায়ন করা দরকার।

নোমান খালেদ চৌধুরী হেমোরজিক স্ট্রোক ও স্ট্রোক পরবর্তী সার্জারিসহ স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।

সভায় নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. এল এ কাদেরী বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থার এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন স্ট্রোকের একভাবে চিকিৎসা দেয়া হতো, এখন সেটি আরেকভাবে দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ফলে দ্রুত রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে। এতে রোগীরাও কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্ট্রোক যেকোনো সময় যেকোনো বয়সে হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের একজন রোগী চিকিৎসার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, কিন্তু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সেটি ঘটে না। তাই স্ট্রোকমুক্ত জীবন গড়তে প্রয়োজন সচেতনতা।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে।

কলেজের অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তাপস মিত্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান।

উপস্থিত ছিলেন নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, ডা. শিউলি মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম খন্দকার, ডা. মসিহুজ্জামান আলফা, ডা. তৌহিদুর রহমান, রেজিস্ট্রার ডা. জামান আহম্মদ, নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. মঈনুদ্দিন, অধ্যাপক ডা. এম এম এহসানুল হক, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম, ডা. আনিসুল ইসলাম খান, ডা. রবিউল করিম, সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮

জেইউ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad