‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসমূহের উন্নয়ন এবং নালা প্রতিরোধ দেয়াল, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ’এবং ‘গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ব্রিজসমূহের উন্নয়নসহ আধুনিক যান যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও সড়ক আলোকায়ন’শীর্ষক দুই প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থবছরে চসিককের জন্য ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এডিপি বরাদ্দ থেকে এই দুই প্রকল্পের বিপরীতে ১৫০ কোটি টাকা চেয়েছে চসিক।
জানা যায়, দুটি প্রকল্পের মধ্যে বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসমূহের উন্নয়ন এবং নালা প্রতিরোধ দেয়াল, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ’ প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থবছরে এডিপি খাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে মন্ত্রণালয়।
গত অর্থবছরে এই প্রকল্পে ২০০ কোটি টাকা অবমুক্ত করা হয়েছিল। এবারের আবেদনে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ১০০ কোটি টাকা ছাড়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় চিঠিতে ‘গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ব্রিজসমূহের উন্নয়নসহ আধুনিক যান যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও সড়ক আলোকায়ন’প্রকল্পে ১০০ কোটি বরাদ্দ রয়েছে। চিঠিতে এই প্রকল্পের জন্য চাওয়া হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
ওই চিঠি দুটিতে বলা হয়েছে, চসিকের যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয় তার অধিকাংশ বেতন ভাতা দেওয়ার পর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে নিজস্ব তহবিলের অর্থের সংস্থান করা দুরূহ এবং সরকারের পাওনা যথাসময়ে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। চিঠিতে সুষ্ঠুভাবে নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রকল্পটি দুটি বাস্তবায়নের স্বার্থে ১৫০ কোটি টাকা অর্থ ছাড়ে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা।
এ বিষয়ে মো. সামসুদ্দোহা বাংলানিউজকে বলেন, অর্থ ছাড়ের জন্য সব সময়ই মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিতে হয়। প্রকল্পের জন্য তো নির্ধারিত বরাদ্দ থাকে। চিঠি দিলে মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড়ের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এসবি/টিসি