চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বাংলানিউজকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ৪ হাজার ট্রাক ও প্রাইম মুভার বন্দরে ঢোকে সেখানে রোববার মাত্র ৩০০ গাড়ি ডেলিভারি হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে একদিকে ইয়ার্ড ও টার্মিনালে কনটেইনার জট এবং রপ্তানি পণ্যবাহী যথাসময়ে বন্দরে পৌঁছার ব্যাপারে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তিনি চট্টগ্রাম বন্দর ও অফডক বা আইসিডিগুলোকে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির বাইরে রাখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
প্রাইম মুভার মালিক সমিতির কার্যকরি সভাপতি মোহাম্মদ আবু বক্কর ছিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরে কোনো প্রাইম মুভার চলাচল করেনি।
পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি পণ্য ও কনটেইনার খালাস ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বেসরকারি ১৯টি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) থেকেও কোনো কনটেইনার বন্দরে আনা-নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব মো. রুহুল আমিন সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, বন্দর টু আইসিডি, আইসিডি টু বন্দর, আইসিডি টু ফ্যাক্টরি, ফ্যাক্টরি টু আইসিড কনটেইনার মুভমেন্ট বন্ধ রয়েছে। সোমবার (২৯ অক্টোবর) ২০ ফুট দীর্ঘ হিসেবে (টিইইউস) ৯০০ রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার নিয়ে দুইটি জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। বাস্তবে কী হবে আমরা জানি না।
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, এমনিতে লিড টাইম নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এখন কর্মবিরতির কারণে একটি দিন নষ্ট হলো। শ্রমিক নেতাদের উচিত সরকারের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা। আশাকরি, শিগগির কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে এবং সোমবার (২৯ অক্টোবর) থেকে সব কিছু স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারের উচিত কঠোর হচ্ছে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করা। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বৈদেশিক বাণিজ্যে যে ক্ষতি হচ্ছে তা অপূরণীয়। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প খাতে বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এআর/টিসি