১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর সিএমপির যাত্রা শুরু হয়। নগরের লালদীঘির পাড়ে জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন পরীর পাহাড় নামে একটি উঁচু টিলায় প্রতিষ্ঠা করা হয় সিএমপি কার্যালয়।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে জেলা প্রশাসনের জায়গায় বছরের পর বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসা সিএমপি অনুমতি না থাকায় নতুন একটি ভবনও নির্মাণ করতে পারেনি।
দীর্ঘদিনের চেষ্টায় জেলা প্রশাসন থেকে নামমাত্র মূল্যে ১ দশমিক ৭৮ একর কিনে নেয় সিএমপি। জমি কেনার পর থেকে নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি গ্রহণ করে সিএমপি।
সিএমপি সদর দফতরের জন্য ২২ তলা বিশিষ্ট এ ভবন নির্মাণের কাজ পায় ডেলটা ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ উল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, নভেম্বর থেকে সিএমপি সদর দফতরের ২২ তলা ভবন নির্মাণকাজ শুরু হবে। আপাতত নয়তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে। পরবর্তী ধাপে পুরো ভবন নির্মাণকাজ শেষ করা হবে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ভবন নির্মাণের কাজ পেয়েছে ডেলটা ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তারা নভেম্বরে কাজ শুরু করবে।
মাসুদ উল হাসান বলেন, এ ভবনে সিএমপি কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনারদের অফিস ছাড়াও নগর বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) অফিসও থাকবে। তবে ডিবি কার্যালয় পৃথক ভবনে থাকবে। সিএমপির কর্মকর্তাদের সংখ্যাও আরো বাড়বে। সকলের স্থান সংকূলান হয় মতো করেই ভবনটি নির্মিত হচ্ছে।
এদিকে গত ২৯ জুলাই সিএমপি সদর দফতর ভবন নির্মাণকাজ চলাকালীন তিন বছরের জন্য লালদীঘি থেকে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে স্থানান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এসকে/টিসি