শনিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নগরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ইভিএম প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে ভোটারদের অভ্যস্ত করতে হবে।
২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে কুমিল্লা, নরসিংদী, টাঙ্গাইলসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলা শহরে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। কোন অসুবিধে হয়নি। ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোট দিয়েছেন। অনেকে ইভিএম নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন। নতুন প্রযুক্তিতে এলেই প্রথম দিকে ভয় কাজ করে। প্রথমে মোবাইল ব্যবহারে নানা সমস্যা দেখা দিলেও বর্তমানে মোবাইল ছাড়া প্রায় সবাই অচল। মোবাইল এখন দ্রুত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। আমাদের মধ্যে আস্থার অভাব, পরষ্পরের মধ্যে সন্দেহ আছে। ইভিএম বুয়েটের তৈরি একটি পুরনো ভার্সন। সবচেয়ে অত্যাধুনিক ভার্সনে ইভিএম তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে ৪-৫ মিনিটের মধ্যে ভোটের ফলাফল জানা যাবে। ইউরোপ, ভারতসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়ে থাকে। ’
ইভিএম হলে নির্বাচনের আগের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী নানা সরঞ্জাম পাঠানোর আর ঝামেলা থাকবে না উল্লেখ করে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠাতে আর পুলিশ পাহারা লাগবে না। প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিশকে আর সারারাত ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে না। ইভিএম সকাল ৮টার আগে খুলবে না। এটি নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিং করা। যিনি ভোট দেবেন, ওনার আঙ্গুলের ছাপ পেলেই ইভিএম খুলবে। আধুনিক প্রযুক্তিতে বিশ্ব যেমনি এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তদ্রুপ বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হলে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
পরে ইসি সচিব ফিতা কেটে ইভিএম প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং ইভিএম মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
এসবি/এসি/টিসি