ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২৪ হাজার বর্গফুটের আল্পনা আঁকছে ওরা ১০ জন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
২৪ হাজার বর্গফুটের আল্পনা আঁকছে ওরা ১০ জন  চলছে আল্পনা অংকন। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে নন্দনকাননের চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের সামনে সাড়ে ২৪ হাজার বর্গফুট সড়কে আল্পনা আঁকছে 'ত্রিবেদী'। বৈচিত্র্যময় এ আল্পনার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৯০ লিটার সাদা রং। ৩০ লিটার লাল, সবুজ, নীল, কমলা, হলুদ ও বেগুনি রং। 

২০১৭ সালেও রাত জেগে আঁকা হয়েছিল ১২ হাজার বর্গফুটের আল্পনা। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্র শেখ মো. জনের নেতৃত্বে শুরু হয় রংতুলির খেলা।

চারুকলার শিক্ষার্থী চন্দ্রিমা, দীপু, ফজলু, অনিক, মুন, কাজল, পিয়াল, পিউ, অভির হাতের ছোঁয়ায় বর্ণিল হতে থাকে কালো পিচের রাজপথ।  

শৈল্পিক এ উৎসব দেখতে আশপাশে শত শত নারী-পুরুষের ভিড় জমে যায়।

শেখ মো. জন কাজের ফাঁকে বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য আল্পনা। গ্রামবাংলার মাটির ঘর, নকশিকাঁথা থেকে শুরু করে শহুরে রিকশায়ও আল্পনা চোখে পড়ে। নবান্ন, পহেলা বৈশাখেও আল্পনার ছোঁয়া লাগে। প্রবারণাকে ঘিরে তরুণদের যে উদ্যোগ তাতে ভালোবাসার টানে ছুঁটে এসেছি আমরা। ’ 

চলছে আল্পনা অংকন।  ছবি: বাংলানিউজ

ত্রিবেদীর ব্যবস্থাপক পিয়াস বড়ুয়া, রিয়েল বড়ুয়া ও বিপর্শী বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, চারুকলার ১০ শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় রাতজেগে এ আল্পনা উৎসব করা হচ্ছে। এটি দ্বিতীয় আয়োজন। আশাকরি ভোর হওয়ার আগে আল্পনার কাজ শেষ হবে।  

তারা জানান, এবার বৌদ্ধ মন্দির চত্বর থেকে দক্ষিণে ফুলকি, পশ্চিমে এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ, ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুলের ফটক, উত্তরে ঝাউতলা পর্যন্ত আল্পনা করা হবে। এ আল্পনা উৎসব আয়োজনের উদ্দেশ্য আবহমানকালের বাঙালি সংস্কৃতির লালন ও সম্প্রীতির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া।  

বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮ 
এআর/টিসি/এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।