ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

করমচায় রং মিশিয়ে চেরি!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
করমচায় রং মিশিয়ে চেরি! জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নিয়মিত তদারকি অভিযানে ধরা পড়েছে নকল চেরি

চট্টগ্রাম: অননুমোদিত ফ্লেবার, রং মিশিয়ে করমচাকে কথিত ‘চেরি’ বানাচ্ছে একটি চক্র। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার নগরের খুলশীর একটি বেকারিতে নকল চেরি দেখতে পান।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) অধিদফতরের নিয়মিত বাজার তদারকির সময় নকল চেরি দিয়ে কেক তৈরি, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রির জন্য রাখায় শাহজালাল বেকারিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।

একই এলাকার দি গ্রোসার সুপার শপকে রং মেশানো চিপস ও মটর বিক্রির জন্য রাখায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় প্রায় ১০ কেজি কেক,১২ প্যাকেট মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুট,  ১৫ প্যাকেট রং মেশানো চিপস ও মটর ধ্বংস করা হয়।

সহকারী পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ওআর নিজাম রোডের লাজ ফার্মাকে মেয়াদহীন কাটা ওষুধ, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) লেখা ছাড়া বিদেশি অননুমোদিত ওষুধ বিক্রির জন্য রাখায় ১০ হাজার টাকা, মিল সিটি রেস্টুরেন্টকে অননুমোদিত ফ্লেবার, মেয়াদোত্তীর্ণ সুজি দিয়ে খাবার তৈরি ও ছাপানো নিউজপ্রিন্টে খাবার সংরক্ষণের দায়ে ১২ হাজার এবং মেহেদিবাগের কিউপিএস ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনসুলিন ফ্রিজে সংরক্ষণের দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় প্রায় ১০ বোতল ফ্লেবার, ৬ প্যাকেট মেয়াদোত্তীর্ণ সুজি ও ঔষধ ধ্বংস করা হয়।

বিকাশ চন্দ্র দাশ বাংলানিউজকে বলেন, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কম দামে করমচা আমদানি করে রঙের জারে ডুবিয়ে চেরি ফল বলে বেশি দামে বিক্রি করছে। এসব নকল চেরি কেকসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। কৃত্রিম অননুমোদিত রং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।