পেশাগত জীবনে নানামুখী সমস্যার উদ্ভব হলে কীভাবে তার সমাধান করা যাবে-এমন ভাবনা নিয়ে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হলো ‘দ্যা মাস্টার অব কেস’ শীর্ষক জমজমাট কেস কমপিটিশন।
সম্প্রতি নগরের জামালখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টুডেন্ট সোসাইটি (বিএসএস) এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
সেখান থেকে চূড়ান্ত পর্বে ৬টি দল লড়াই করার সুযোগ পায়।
দুই পর্বে বিভক্ত প্রতিযোগিতার প্রথমে ছিল কর্মশালা। পরে অনুষ্ঠিত হয় মেধা যাচাইয়ের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন হোটেল দ্যা কক্স টুডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, ডেলটা ইমিগ্রেশনের সিইও মো. আলমগীর, পিএইচপি গ্রুপের বোর্ড সেক্রেটারি নাজমুল হাসান, সিআইইউর বিজনেস স্কুলের ডিন ড. মোহাম্মদ নাঈম আবদুল্লাহ, অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর কামরুদ্দিন পারভেজ, ক্লাবের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মো. আরাব বিন দিদার চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা জানান, এই ধরনের আয়োজন সিআইইউর মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারে আরও চৌকস-কর্মমুখী হিসেবে গড়ে তুলবে। বাড়িয়ে দিবে তাদের কাজের অনুপ্রেরণা।
প্রতিযোগিতার তিন বিচারক ছিলেন সহযোগি অধ্যাপক ড. ইমন কল্যাণ চৌধুরী, প্রভাষক আশিকুল মাহমুদ ইরফান ও তামান্না জামান।
বিজনেস স্টুডেন্ট সোসাইটির সদস্যরা জানান, বাস্তব জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ভেতর কেস (সমস্যা) ছুঁড়ে দেওয়া হয়। এসব কেস নিয়ে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে পরবর্তীতে ছাত্র-ছাত্রীরা ডুবে যান সমস্যার সমাধানে।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী সাঈদ ইয়ামিন নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রাথমিকভাবে সমস্যাগুলো অনেক কঠিন লেগে ছিল। কিন্তু যখন সব বন্ধুরা মিলে সমাধানের চেষ্টা করলাম তখন দেখলাম সত্যিই পারছি। আশা করছি কর্মজীবনেও এই ধরনের সমস্যার দারুণ ফলাফল তৈরি করতে পারবো।
সারা দিলশাদ নামের আরেক ছাত্রী বলেন, কেস কমপিটিশান নিয়ে গত একমাস ধরে অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল। ভয়ও লাগছিল পারবো কি না। কারণ এখানে যেসব প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে সেগুলোর তাৎক্ষণিক সমাধান বের করা সত্যিই কঠিন ব্যাপার।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
এসবি/টিসি