রোববার (২১ অক্টোবর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নিয়মিত বাজার তদারকি কার্যক্রমে এমন চিত্র ধরা পড়ে।
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার হালিশহরে বে লিফ রেস্তোরাঁকে পোড়াতেল ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করায় ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
একই প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে বেশি দামে কোমল পানীয় বিক্রি করায় আরও ৪ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
সহকারী পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস পাঁচলাইশ এলাকায় তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় অননুমোদিত ফ্লেভার, রং মেশানো করমচা (কথিত চেরি) ব্যবহার ও একই ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সঙ্গে রান্না করা খাবার সংরক্ষণের জন্য মুরাদপুরের হোটেল জামান এক্সক্লুসিভকে ১২ হাজার টাকা এবং ছাপানো নিউজপ্রিন্ট ব্যবহার করে কেক তৈরি ও মোড়কজাত বিধিমালা অমান্য করায় মুরাদপুরের আবির ফুড প্রোডাক্টসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপর সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান চকবাজার এলাকায় তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় কেবি ফজলুল কাদের সড়কের পাকশি রেস্টুরেন্টকে কাঁচা মাছ-মাংসের সঙ্গে রান্না করা খাবার রাখায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। লোটাস রেস্টুরেন্টকে কাঁচা মাছ-মাংসের সঙ্গে রান্না করা খাবার ও পোড়াতেল সংরক্ষণ করায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া ঝালবিতানকে পোড়াতেল রাখা, জমানো পানিতে থালা-বাটি ধোয়া এবং ছাপানো নিউজপ্রিন্টে খাবার সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠান তিনটির বাসি খাবার ও পোড়াতেল ধ্বংস করা হয়।
নগরের হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে পচা-বাসি খাবার, ভেজাল-মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ-পথ্য বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, জনস্বাস্থ্য ও ভোক্তাস্বার্থ রক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পাশাপাশি বিএসটিআই, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সাঁড়াশি অভিযান দরকার। নয়তো ভোক্তারা শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, একই সঙ্গে জটিল রোগেও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
এআর/টিসি