রোববার (২১ অক্টোবর) সিটি করপোরেশনের কনফারেন্স হলে এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিপত্রে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন স্বাক্ষর করেন।
এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ, সচিব মো.আবুল হোসেন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, আইপিপির প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, প্রকৌশলী রেজাউল করিম, সহকারী প্রকৌশলী ইমাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুসারে নগরবাসীকে ক্লিন ও গ্রিন সিটি উপহার দেওয়ার তাগিদ দিয়ে সিটি মেয়র আরও বলেন, আবর্জনার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিবেশবান্ধব নগর গড়তে এবং বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনে এ উদ্যোগ। এটি স্থাপিত হলে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ ঘাটতি দুর হবে। প্ল্যান্টের স্থান নির্ধারণ, টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ আরো ২টি চুক্তি স্বাক্ষরের পর বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে প্রায় ৩ বছর সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী চসিক বিনামূল্যে জমি দেবে। প্রতিদিন আড়াই হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য থেকে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে বর্জ্য পৌঁছে দেবে চসিক। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পিডিবি। এই প্রতিষ্ঠানটি বিল্ড অন অপারেট এন্ড ট্রান্সফার (বিওওটি) পদ্ধতিতে স্পন্সর ঠিক করবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি গড়ে উঠলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আসবে এবং পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি পূরণ হবে নগরবাসীর বিদ্যুৎ চাহিদা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
এসবি/এসি/টিসি