ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নানার বাড়িতে

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নানার বাড়িতে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ দেখতে মানুষের ভিড়। ছবি: উজ্জ্বল ধর, বাংলানিউজ

পূর্ব মাদারবাড়ি থেকে: কেউ এসেছেন নগরের বহদ্দারহাট থেকে। কেউবা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সবার একটাই ইচ্ছে, জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে শেষবারের মতো দেখা।

শনিবার ( ২০ অক্টোবর) বেলা ১০টা থেকেই পূর্ব মাদারবাড়ির নানার বাড়িতে ভিড় জমতে শুরু করে। বেলা যত গড়িয়েছে ভিড় ততো বেড়েছে।



বেলা ১১টায় যখন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ আসার খবর আসে, তখন হাজারো ভক্ত আইয়ুব বাচ্চুর নানার বাড়িতে এসে ভিড় জমায়। পরে ১২টার দিকে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ এনে রাখা হয় ওই বাড়িতেই।

মরদেহটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে নগরের মাদারবাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বেলা ১২টার দিকে মাদারবাড়ি এলাকায় মরদেহ এসে পৌঁছে। সেখানে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন মরদেহটি আইয়ুব বাচ্চুর মামা মো. আবদুল হালিমকে হস্তান্তর করেন।

শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন অসংখ্য ভক্ত।  সেখানে অনেকেই স্মৃতিচারণ করছেন।  

আইয়ুব বাচ্চু ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তাকে যেন মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী শনিবার বাদ আছর চৈতন্যগলির কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) মাত্র ৫৬ বছর বয়সে আইয়ুব বাচ্চু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারবাদক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক।

বাবাকে শেষ দেখা দেখতে এসেছেন মেয়েশুক্রবার (১৯ অক্টোবর) আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম নামাজে জানাজা হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সম্পন্ন হয়। তারপরই দুপুর পৌনে ১টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে তার মরদেহ আনা হয়। জানাজায় শিল্পী, নাট্যকার, রাজনীতিবিদ, আইনজীবীসহ সর্বস্তরের লাখো মানুষ অংশ নেন। আইয়ুব বাচ্চুর দ্বিতীয় জানাজা হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। দ্বিতীয় জানাজা শেষে শিল্পীর মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়।

আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের এনায়েতবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ ইসহাক ও মা নূরজাহান বেগম। ১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে তার পথচলা শুরু। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছিলেন সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট।

আইয়ুব বাচ্চুর অ্যালবাম এলআরবি বাজারে আসে ১৯৯২ সালে। এলআরবিই দেশের প্রথম ডাবল ও আনপ্লাগড অ্যালবাম প্রকাশ করে। সুখ, তবুও, ঘুমন্ত শহরে, ফেরারি মন, আমাদের বিস্ময়, মন চাইলে মন পাবে, অচেনা জীবন, মনে আছে নাকি নাই, স্পর্শ, যুদ্ধ এলআরবির জনপ্রিয় অ্যালবাম।

একক অ্যালবামেও ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছেন ক্ষণজন্মা এই শিল্পী। তার একক অ্যালবামের মধ্যে কষ্ট, সময়, একা, প্রেম তুমি কি, দুটি মন, কাফেলা, জীবনের গল্প উল্লেখযোগ্য। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও প্লে-ব্যাক করেছেন আইয়ুব বাচ্চু।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
জেইউ/এসবি/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।