শনিবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাতটা থেকে কবর খোঁড়া শুরু করেন মো. জাফর (৬০), মো. সরওয়ার (৩০) ও ইমাম হোসেন (২০)।
ইমাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, শহর কুতুুব মাওলানা নজির শাহ আল মাইজভাণ্ডারীর মাজারের উত্তরে মায়ের কবরের পাশে আইয়ুব বাচ্চুর কবরটি তৈরি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ছাত্র কাজী নাইম ইসলাম এসেছেন কবর খোঁড়া দেখতে। তার চোখে পানি। বললেন, বাচ্চু ভাইয়ের প্রথম অ্যালবামের ‘নদীর বুকে চাঁদ পড়েছে’ গানটি শুনে তার ভক্ত হয়ে যাই। এক আকাশের তারাসহ সব গানই আমার প্রিয়। তার অকালে চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া কঠিন।
মাজারের মোতাওয়াল্লি হাফেজ গোলাম রহমান জানান, আইযুব বাচ্চু মা পাগল ছেলে ছিল। প্রায়ই দেখতাম কবর জেয়ারত করতে আসছে। কবর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শ্রমিকদের টাকা-পয়সা দিত।
একদিকে যখন কবর খোঁড়া হচ্ছে অন্যদিকে মরদেহের ওপরে দেওয়ার জন্য বাঁশ-চাটাই সংগ্রহ করছিলেন মো. সেকান্দার মিয়া। তার কণ্ঠেও অাফসোস, যে মানুষটা নিয়মিত মায়ের কবরে আসতেন জেয়ারত করতে তিনিই আজ শেষ ঠিকানা করে নিচ্ছেন সেখানে।
আইযুব বাচ্চুর জানাজা, কবর, দাফন হচ্ছে চসিকের তত্ত্বাবধানে। সকাল থেকে স্টেশন রোড ও আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন করছেন ৩০ জন পরিচ্ছন্নকর্মী (সেবক)। তদারকি করছেন চসিকের পরিদর্শক মো. আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, বাচ্চু কত জনপ্রিয় তা বুঝেছি। জানাজা বিকেলে কিন্তু সকাল থেকে কবরস্থানে তরুণদের ভিড়।
বাদে আসর নগরের দামপাড়া ওয়াসার মোড়ে জমিয়তুল ফালাহ মাঠে জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর। এরপর গানের মতো এনায়েত বাজার, মাদারবাড়ি, পটিয়া, স্টুডিও, মঞ্চ, হোটেল, ঢাকা, বাংলাদেশ, কলকাতার অনেক ঠিকানার ভিড়ে আসল ঠিকানায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
এআর/এসি/টিসি