দুই বাড়ির লোকজনের একই অভিমত। রবিন (বাচ্চুর ডাকনাম) বলে গেছেন, চৈতন্য গলিতে মায়ের কবরের পাশেই যাতে কবর দেওয়া হয়।
আইয়ুব বাচ্চুর মামাত ভাই মো. আবদুল্লাহ আল মেহেরাজকে পাওয়া গেল পূর্ব মাদারবাড়ির আকতার শাহ লেনের মামা বাড়িতে।
এনায়েত বাজারের জুবিলি রোডে বাচ্চুর জন্মস্থানেও শোকের ছায়া। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ছেলেবেলার বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন আর শুভানুধ্যায়ীরা। বাচ্চুর জেঠাত ভাই মো. সোলায়মান খোকা। তার চোখ ছলছল করছে। কণ্ঠ চেপে আসছে।
বাকরুদ্ধ কণ্ঠেই স্মৃতিচারণ করে বলেন, গানের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন বাচ্চু ভাই। গিটার জোগাড় করা কঠিন ছিল। রাত করে বাড়ি ফিরতেন। চাচি ভাত-তরকারি টেবিলের ওপর রেখে দিতেন। দারোয়ানকে কয়েক টাকা বকশিশ দিয়ে গেট খোলাতেন। তারপর সেই ঠাণ্ডা ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তেন। তিনি বলেন, ছেলেবেলায় বাচ্চু সাইকেল চালাতে পছন্দ করতেন। স্কুল ফাঁকি দিয়ে সাইকেলের পেছনে আমাকে পেছনে বসিয়ে অনেক দূরে চলে যেতেন। একবার মোটরসাইকেলে নিয়ে গেলেন পতেঙ্গা সৈকতে। কিন্তু মাঝপথে স্টার্ট বন্ধ। এবার সেই মোটরসাইকেল রিকশায় তুলে গ্যারেজে নিয়ে গেলেন। তিনি ঘুড়ি উড়াতে ভালোবাসতেন।
বাচ্চুর ছেলেবেলার বন্ধু আমিন চৌধুরী দোতলায় উঠার সিঁড়ি দেখিয়ে বলেন, ওই সিঁড়িতে বসে কত আড্ডা মেরেছি। এ গলিতে কত ক্রিকেট খেলেছি। দোতলায় তার গিটারের টুং-টাং শব্দে মুখর থাকতো পাড়া। আমরা অনেক বড় সম্পদ হারিয়েছি।
** শুক্রবার ঢাকায় জানাজা, শনিবার চট্টগ্রামে দাফন
** কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আর নেই
** ‘গোল্ডেন বয়েজ’ থেকে ‘এলআরবি’
** এই রুপালি গিটার ফেলে একদিন...
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
এআর/টিসি