ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পিইসিতে দুই পরিবর্তন, চট্টগ্রামে কমেছে পরীক্ষার্থী

মিজানুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
পিইসিতে দুই পরিবর্তন, চট্টগ্রামে কমেছে পরীক্ষার্থী

চট্টগ্রাম: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় এবার দুটি বিষয়ে পরিবর্তন এসেছে। বাড়ানো হয়েছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময়। পাল্টেছে পরীক্ষা শুরুর সময়সূচিও।

গেলো বছর বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হতো। এবার তা বাড়িয়ে ৩০ মিনিট করা হয়েছে।

এছাড়া পরীক্ষা শুরুর সময়সূচি সকাল ১১টার পরিবর্তে সাড়ে ১০টা করা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামে এবার পিইসিতে পরীক্ষার্থী কমেছে ৬ হাজার ৯৯০ জন।

গেলো বছর চট্টগ্রাম জেলার ১৪ উপজেলা এবং নগরের ৬ থানার ৩ হাজার ৭৯৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

এবার এসব এলাকা থেকে ৩ হাজার ৬৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। নগর ও জেলার ৩৪৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শেষ মুহূর্তে কয়েকটি কেন্দ্র বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় কিছু বিষয়ে পরিবর্তন এসেছে। তবে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষে সব ধরণের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এবছর চট্টগ্রাম থেকে অংশ নেওয়া ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৭ হাজার ২ জন ছাত্র এবং ৭৮ হাজার ৫৬০ জন ছাত্রী। এদের মধ্যে জেলা থেকে ৯৮ হাজার ২৬৮ জন এবং নগর থেকে ৪৭ হাজার ২৯৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

নগরের ৬ থানার মধ্যে ডাবলমুরিং থানায় ২০৩টি বিদ্যালয়ের ৯টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৩৩৭ জন, পাঁচলাইশ থানায় ১৮৮টি বিদ্যালয়ের ১০টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৪৭ জন, চান্দগাঁও থানার ১৬২টি বিদ্যালয়ের ৯টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৮৩৪ জন, কোতোয়ালী থানায় ১০৯টি বিদ্যালয়ের ৭টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৮৮ জন, পাহাড়তলী থানার ১২০টি বিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৬ হাজার ২৩৮ জন এবং বন্দর থানায় ১২৬টি স্কুলের ৬টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৭৫০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১৯৮টি বিদ্যালয়ের ৩০টি কেন্দ্রে ৮ হাজার ৯৫৪ জন, পটিয়াতে ২৮৩টি বিদ্যালয়ের ৩২টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ১১১ জন, আনোয়ারায় ১৫৯টি বিদ্যালয়ের ১৪টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৬৬২ জন, বোয়ালখালীর ১৪০টি বিদ্যালয়ের ১৪টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৬৩২ জন, লোহাগাড়ায় ১৪৩টি বিদ্যালয়ের ১২টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৯৭৮ জন, চন্দনাইশে ১২৫টি বিদ্যালয়ের ১৮টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৩৫ জন, সাতকানিয়ায় ১৮৯টি বিদ্যালয়ের ২৯টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৬৮৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

উত্তর চট্টগ্রামের রাউজানে ২৩৪টি বিদ্যালয়ের ২৫টি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৩৪৫ জন, ফটিকছড়িতে ৩০৮টি বিদ্যালয়ের ৩৭টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ২৭ জন, হাটহাজারীতে ২২৬টি বিদ্যালয়ের ২২টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৮১৭ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২০১টি বিদ্যালয়ের ১৮টি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৩৬৬ জন, মিরসরাইয়ে ২২৭টি বিদ্যালয়ের ১৮টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৩৭৮ জন, সীতাকুণ্ডে ১৫২টি বিদ্যালয়ের ১২টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৬৭৩ জন এবং সন্দ্বীপে ১৭৩টি বিদ্যালয়ের ১৮টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৬০৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

এদিকে ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় এবার চট্টগ্রাম থেকে ২৫ হাজার ৯৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৯২৫ জন ছাত্র এবং ১২ হাজার ১৯ জন ছাত্রী। জেলা ও নগরের ৫৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসব শিক্ষার্থী ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেবে।

১৮ নভেম্বর থেকে সারাদেশে একযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।