কথাগুলো বলেই সামনের দিকের দর্শক সারিতে আশাবাদ নিয়ে তাকালেন আয়মান সাদিক। ডান হাত থেকে মাইক্রোফোন বাঁ হাতে যাওয়ার আগেই ততক্ষণে উপরে হাত উঠিয়ে ফেলেছেন অডিটোরিয়াম ভর্তি শিক্ষার্থীরা।
সবাই জানালেন, আজ থেকে অন্তত একটি ভালো কাজের চেষ্টা করবেন তারা। শুধু শপথ নয়, নিজেকে বদলে ফেলার, দেশকে বদলে দেওয়ার আর সামনে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ মন্ত্রণা পাওয়া গেল তরুণদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় হওয়া অনলাইনভিত্তিক টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিকের কাছ থেকে।
মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সকালে চিটাগং ইনডেপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) বিজনেস স্টুডেন্টস সোসাইটি ‘ক্যারিয়ার হ্যাকস ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে ক্যারিয়ার, দেশের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার নানা দিক, আইন-কানুন মেনে চলার মজার কৌশল, দেশপ্রেম বৃদ্ধিসহ হরেক বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা তার বক্তব্য খুবই মনোযোগ দিয়ে শোনেন। পরে আড্ডায় আড্ডায় নানা প্রশ্নের জবাব দেন। সাদা রঙের পাঞ্জাবি আর পায়জামাতে আয়মান সাদিক যেন বরাবরই তরুণ-তরুণীদের কাছে ব্যতিক্রম কিছু।
আয়মান সাদিক বলেন, এমন একটা কিছু করতে হবে যাতে সবাই হতবাক হয়ে যাবে। সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, কাজের উদ্দেশ্য মহৎ হওয়া চাই। স্বপ্ন দেখতে হবে। নইলে বড় হতে পারবে না। টেন মিনিট স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেবো।
নিজেকে সময়ের আগে নিয়ে ছুটে চলার প্রসঙ্গে তুলে ধরে বলেন, কখন কাজ শুরু করবো তার জন্য বসে থাকার দরকার নেই। যে ভাবা সেই কাজ। এখনি কাজ শুরু করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ। তাই যোগাযোগ দক্ষতা, কর্মদক্ষতা আর পেশাদারিত্ব বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে আসা তাহমিনা ইয়াছমিন বলেন, আয়মান সাদিক বরাবরই আশাবাদের কথা বলেন। শুনে বেশ ভালো লেগেছে।
মুমতাহিনা মুনসুর নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, চাকরির বাজারে ঢোকার আগেই নিজেকে একটু ঝালাই করে নেওয়া চাই। তিনি যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর কথা বলেছেন বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
জেইউ/টিসি