সোমবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটা থেকে সব মোটর, লাইট বন্ধ করে প্ল্যান্টে বিভিন্ন কারখানা থেকে আসা পানি ঢোকানো বন্ধ করে দেন। ফলে বিভিন্ন দূষিত পানিতে ওই এলাকার নালা উপচে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
কারখানার একজন কর্মী বাংলানিউজকে জানান, আমাদের তিন মাসের বেতন একটি ঈদ বোনাস বকেয়া ছিল। সোমবার মাত্র এক মাসের বেতন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিইপিজেড সূত্র জানায়, সিইপিজেডের দেশি-বিদেশি কারখানাগুলো দূষিত পানি পরিশোধনের জন্য নিয়মিত টাকা জমা দিলেও ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ বিল না পাওয়াতে শ্রমিকদের বকেয়া দিতে পারেনি। সোমবার একটি বিল ছাড় করা হলে শ্রমিকদের এক মাসের বেতন দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর বাকি দুই মাসের বেতন ও বোনাসের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করে। ওই কারখানায় কর্মকর্তা মিলে ৬০ জন কাজ করেন।
চিটাগাং ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ২০১২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছি। কখনো বেতন-বোনাস বাকি পড়েনি। আমাদের কিছু বিল আটকা পড়াতে সাময়িক অসুবিধা হয়েছে। বিল পেলেই পাওনা দিয়ে দেব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মো. খুরশীদ আলম বাংলানিউজকে জানান, ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে শ্রমিকদের ধর্মঘটের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
একজন কর্মী বাংলানিউজকে জানান, পৌনে সাতটায় বেপজার একটি প্রতিনিধি দল কারখানা পরিদর্শন করেন। এ সময় বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মো. খুরশীদ আলম বলেন, আমরা একটি টিম পাঠিয়েছি। তারা জানিয়েছে, ওই কারখানার শ্রমিকদের ১ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। বকেয়া শিগগির দিয়ে দেওয়া হবে। শ্রমিকদের কেউ একজন মেইন সুইচ কয়েক মিনিটের জন্য অফ করে দিয়েছিল। বর্তমানে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, আপডেট ১৯৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এআর/টিসি