শুধু বহির্নোঙর নয়, বহির্নোঙর থেকে ছোট ছোট জাহাজে খোলা পণ্য নিয়ে আসায় কর্ণফুলী নদীর ১৭টি ঘাটেও পণ্য খালাসের ধুম পড়েছে।
ব্যক্তিমালিকানাধীন ছোট জাহাজের (লাইটার) সিরিয়াল দিয়ে থাকে আগ্রাবাদের ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল।
তিনি জানান, ব্যক্তিমালিকানাধীন লাইটার জাহাজের বাইরে বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব লাইটার জাহাজ রয়েছে। সেগুলোও পুরোদমে কাজ শুরু করেছে।
বন্দরের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে খোলা পণ্য খালাস কয়েকদিন ব্যাহত হলেও বন্দরের মূল জেটিতে কনটেইনার লোড-আনলোডের কাজ স্বাভাবিক ছিল। তাই জাহাজ-জট বা কনটেইনার জটের শঙ্কা নেই।
বন্দর সূত্র জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কম ভাড়ায় বেশি গম, সার, কয়লা, স্ক্র্যাপ, পাথর ইত্যাদি পণ্য আনার জন্য আমদানিকারকেরা বড় জাহাজ বন্দরের বহির্নোঙরে নিয়ে আসেন। যেগুলো ১৯০ মিটারের চেয়ে দীর্ঘ কিংবা ৯ দশমিক ৫ মিটারের বেশি ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) হওয়ায় বন্দর জেটিতে ভিড়তে পারে না। এ ধরনের জাহাজ বহির্নোঙরে রেখে ছোট জাহাজে (লাইটার) পণ্য খালাস করে বিভিন্ন জেটি, ঘাট ও নদীবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারী বৃষ্টি ও সাগর উত্তাল হলে বহির্নোঙরে খোলা পণ্য বিশেষ করে খাদ্যশস্য, সার ইত্যাদি ভিজে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় খালাস বন্ধ থাকে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৮ কোটি ৫০ লাখ টন পণ্য পরিবহন হয়েছে। যা দেশের মোট পণ্য পরিবহনের ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ। দেশে মোট কনটেইনার পরিবহন হয় ২৭ লাখ ৪৮ হাজার। এর মধ্যে ২৭ লাখ ৫ হাজার ৯০৯টি পরিবহন হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। যা মোট কনটেইনারের ৯৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বাকি ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ পরিবহন করেছে মোংলা বন্দর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এআর/এসি/টিসি