ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খাদ্যের মানে আপস নয়: মাহবুব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
খাদ্যের মানে আপস নয়: মাহবুব বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম

চট্টগ্রাম: খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে জাতীয় মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই এর আপস করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।

রোববার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত ৪৯তম বিশ্ব মান দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মান’।

নগরের আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মাহবুবুল আলম বলেন, জাপান ভালো দামে মানসম্পন্ন খাদ্যপণ্য আমদানি করে।

মানের প্রশ্নে তারা আপস করে না। খাদ্যপণ্যের ব্যাপারে যেন বিএসটিআই আপস না করে। ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে খাদ্য, পানি, ওষুধ, শিশুখাদ্য ইত্যাদিতে কোনো আপস করা যাবে না। বিদেশে যা রপ্তানি হচ্ছে সেই খাদ্য, পানীয়, ওষুধ দেশেও বাজারজাত করতে হবে। যারা ভেজাল খাদ্য উৎপাদন করবে তাদের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক রাখবো না।

তিনি বলেন, অনলাইনে ব্যবসার সুবিধা যেমন আছে তেমনি কিছু অসুবিধাও আছে। এ ব্যাপারে ভোক্তাদের সচেতন, সক্ষম হতে হবে।

ইনস্টিটিউশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক প্রকৌশলী মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন।

প্রকৌশলী মো. সেলিম রেজা বলেন, প্রতি বছর ১৪ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী মান দিবস পালন করা হয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অপরিহার্য। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকতে হলে বিশ্ব মান নিশ্চিত করতে হবে। সরকার বিএসটিআইকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশব্যাপী বিএসটিআই এর কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনা করে ভেজাল, মানহীন পণ্য উৎপাদন বন্ধে বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শিল্পায়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে পণ্যের মান নিশ্চিত করছে বিএসটিআই। ২১টি পণ্য বিএসটিআই সনদে ভারতের বাজারে প্রবেশাধিকার পেয়েছে।

এসএম নাজের হোসাইন বলেন, মানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। ওষুধ, বেকারি পণ্যসহ অনেক পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এটি গর্বের বিষয়। সমস্যা হচ্ছে আসলের পাশাপাশি নকল, ভেজাল পণ্যে বাজার সয়লাব হচ্ছে। মানহীন ইলেকট্রনিকস, সিকিউরিটি ক্যামেরা জাতীয় পণ্য দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। এর কারণে ভোক্তারা একদিকে ঠকছে, অন্যদিকে নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছে। তাই বিএসটিআইকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

বিএসটিআই’র কর্মকর্তা শিমুল বিশ্বাস ও দেবী দাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমদ, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, বিএসটিআই’র উপ-পরিচালক শওকত ওসমান, বনফুল অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক আমানুল আমান, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের আইন সম্পাদক জয়নাল আবেদিন রানা,  চট্টগ্রাম ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আবদুল্লাহ্ আদনান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, কামাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খালেদ খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।